ব্রেকিংঃ

ভিয়েনায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ও ১৫ই আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

জনতার বাণী ডেক্সঃ
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ও ১৫ই আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের প্রতিবাদে অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্দোগে সোমবার (২১ অক্টোবর ২০২৪) সন্ধ্যায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় ভিয়েনার হেলওয়াগটাসে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম ও সঞ্চালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শ্যামল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহী দাস সাহা, শফিকুর রহমান বাবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, আমিনুল ইসলাম কাঞ্চন, আরিফ হারুন রশিদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অপশক্তির অবৈধ সরকার পাকিস্তানীদের মাস্টারপ্ল্যান মতো বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। ঢাকাসহ সারা দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও ম্যুরাল এবং মুক্তি সংগ্রামের স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর করে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যালয়গুলো ভাঙচুর করে। আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শতশত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাঙালির মুক্তি আন্দোলন নেতৃত্ব দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। এই অর্জনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাঁকে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যগণ। তাঁদের অবদান মুছা যাবে না। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিবস ও ১৭ই মার্চের শিশু দিবস ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। ১৫ই আগস্ট বাঙালির সবচেয়ে বড় শোক দিবস। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এইসব দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। এই দিবসগুলো বাতিলের অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবৈধ সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, ‘রিসেট বাটন চেপে ইতিহাস মুছা যায় না, যাবে না।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।