ব্রেকিংঃ

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রাম ঘুরে দেখলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গার আদি আবাসস্থল রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল রাখাইনের মংডু’তে যান। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা দেখেন তারা।
পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের কয়েকজন সদস্য রাখাইন পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। প্রতিনিধিদলটি দুপুরে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তুয়ে থেকে মংডুর পথে যাত্রা করে। মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী উইন মিয়াট আইয়িও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গারা আটকা পড়ে আছে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য নির্মিত তং পিও লেত ইয়ার এবং এনগা খু ইয়া’র অভ্যর্থনা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এছাড়া ৩০ হাজার লোকের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন হ্লা পোই কং’য়ের ট্রানজিট ক্যাম্পে যান। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রী যান শোয়ে জার গ্রামে। যেখানে ভারত সরকারের অর্থায়নে রোহিঙ্গাদের জন্য ১৪৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পান তাও পাইন গ্রাম পরিদর্শন করেন। এই গ্রাম থেকে পায় ১৫ হাজার রোহিঙ্গা নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের বাসিন্দারা একসঙ্গে এখনও বসবাস করছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি রাখাইনের মানুষের ওপর চালানো ধংসযজ্ঞের নমুনাও প্রত্যক্ষ করেছেন। 
মিয়ানমারের নেতাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী দেশটি সফর করছেন। শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলের ইউনিয়ন মন্ত্রী কিয়াউ টিন্ট সোয়ে’র মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বরে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল তার বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। তিনদিনের সফর শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার দেশে ফিরবেন।
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।