ব্রেকিংঃ

ভোলার তজুমদ্দিনে আ’লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ২০ আটক ৯

তজুমদ্দিন প্র্রতিনিধি।। ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলাল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা মারধর ও ব্যাপক সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৮টি নির্বাচনী অফিস ও ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মটরসাইকেল ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার রাত ১০টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হামলা মারধর ও সহিংস ঘটনা ঘটে।এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে উভয় পক্ষের ৯ জনকে আটক করেছে। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে হামলা ও সংঘষের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোমবার রাত ১২ টার দিকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ানের কর্মীরা লাঠি সোটা নিয়ে মঙ্গল সিকদার উত্তর বাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলালের ২টি নির্বাচনী অফিস ও একটি ইলেকট্রনিক্স এর দোকান ভাংচুর করে। এছাড়াও উত্তর চাচড়া, ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর ২টি অফিস ভাংচুর করা হয়। এসময় একটি ঔষধের দোকানেও হামলা চালানো হয়।

এ ছাড়াও চর মোজাম্মেলে বিদ্রোহী প্রার্থীর ৩টি অফিস ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে মঙ্গল সিকদার বাজারে একটি মটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ সময় সংর্ঘষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে ৯ জনকে আটক করে। তজুমদ্দিন থানাও ওসি ফারুক আহমেদ জানান, সংর্ঘষের ঘটনায় ৯জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে ১৬ জনের নামে ও অজ্ঞাত ১২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।