ব্রেকিংঃ

রাজাপুরে চোরাই ট্রলার নিয়ে চলছে নাটক।। সন্দেহের তীর সিরাজ মাঝির দিকে

জামিল হোসেন/ ইয়ামিন হোসেন:
সদর উপজেলার ১নং রাজাপুরে মাছ শিকারের নৌকা নিয়ে চলছে নাটকিয়তা সরেজমিন স্থানীয় রাজাপুরে গিয়ে জানাযায় গত সোমবার মধ্যরাতে মেঘনায় ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে বলে স্থানীয় ভাবে প্রচার হয় কিন্তু প্রকাশে মুখ খুলতে নারাজ জেলেরা । তবে কি জলদস্যুর ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ এলাকার জেলেরা? তবে রাজাপুরের বেশ কিছু জেলেও মাঝীদের সাথে কথা বলে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে তবে চাঁদপুরের নদীতে । এদিকে বুধবার সকালে রাজাপুরের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খাঁনের কাছে স্থানীয়রা অভিযোগ করলে তিনি ইউনিয়নের দফাদার কালিমুল্লা ও চৌকিদার নাজিম এবং আবুল বশার কে দিয়ে একটি পাখি ট্রলার আটক করেন। আটক কৃত ট্রলারটি রাজাপুরের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জসিম মিস্ত্রির হেফাজতে রয়েছে বলে জানান কালিমুল্লা দফদার ও নাজিম চৌকিদার। অপর দিকে রাজাপুরের ৭নং ওয়র্ডের বাসিন্দা সিরাজ মাজি মেঘনায় জলদস্যুতার সাথে জড়িত আছেন বলে স্থানীয় জেলেরা প্রকাশ করেছেন এবং সিরাজ মাজি তার সহযোগী নিয়ে আটক কৃত ট্রলার দিয়ে মেঘনায় ডাকাতি করেছেন বলে মন্তব্য করেন কিছু জেলে মাঝিরা। এ বিষয়ে সিরাজ মাঝি জানান, আমি আটক কৃত ট্রলারের বিষয়ে কিছুই জানিনা আমি একজন সাধারন জেলে কিন্ত মাঝি নই। ট্রলারটির মালিক কেবা কাহারা আপনি জানেন এমন প্রশ্নে সিরাজ বলেন ইসমাইল হোসেন বৌন্না ট্রলারের মালিক বলে আমি শুনেছি কিন্তু নিশ্চিত জানিনা। তবে স্থানীয় জেলেরা জানান সিরাজ মাঝি,নিরব, মিরাজ, আলাউদ্দিনসহ একটি গ্রুপ এই ট্রলারটি দিয়ে মাছ ধরেছে তবে তাদের ভয়তে মুখ খুলতে নারাজ জেলেরা। এদিকে ট্রলারের মালিক ইসমাইল হোসেন বৌন্না মুঠো ফোনে সাংবাদিকদের জানান আমি এ ট্রলার খানা বিগত ৭মাস পুর্বে আড়ৎদার আলম মিয়াজি থেকে দাদন নিয়ে চাঁদপুর থেকে ক্রয় করেছি। বর্তমানে নদীতে অভিযান বলে ট্রলারটি ঘাটে ছিলো আমি তেমন খোজ খবর নেয়নি তবে আজ শুনেছি এই ট্রলার দিয়ে নদীতে একটি গ্রুপ ডাকাতি করেছে। তবে রাজাপুরের জেলেরা জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান মিজান খানঁ আমরা যাতে নদীতে জলদস্যু বা ডাকাতির কবলে না পরি এই জন্য তিনি সব সময় আমাদের খোজ খরব রাখেন। এই ট্রলারটি উদ্ধার করার জন্য তাকে ধন্যবাদ তবে অপরাধী যেই হোক মূল রহস্য বের করে তাকে যেন শাস্তির আওতায় আনা হয় এই জন্য চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খাঁন জানান এই ট্রলারটি দিয়ে নদীতে ডাকাতি হয়েছে শুনে দফাদার, চকিদার ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উদ্ধার করে পরিষদের হেফাজতে রেখেছি তদন্ত করে অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।