ব্রেকিংঃ

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় ঘর ছাড়লেন ছয় সন্তানের জননী

এম রহমান রুবেলঃ
ভোলার পশ্চিম ইলিশায় ঘর ছাড়লেন ছয় সন্তানের জননী ১৭ বছর স্বামীর সংসার করা লাবলী বেমগ।
এই ঘটনায় জরিত লাবলীর ও একই এলাকার ১৭ বছর বয়সী সাগরকে রাতে ধরে লাবলীর স্বামী কামাল তাকে ঘনধোলাই দিলে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাসি তাদেরকে ধরে যার যার গার্ডিয়ান এর কাছে বুজিয়ে দিলে ও তার পরের দিন রাতে স্থানীয় ৫ নং ওয়াডের ইউপি মেম্বার সেলিমের বাসায় চলে যায় কামালের স্ত্রী ৬ সন্তানের জননী লাবলী বেগম ।
স্থানীয় মেম্বারের বাসা থেকে লাবলী বেগমের স্বামী ও স্থানীয় মহিলা মেম্বার বেগম লাট সহ কযেকজন আত্নীজন সহ আনতে গেলে স্থানীয় সেলিম মেম্বার লাবলীকে তার স্বামী ও স্বজনদের কাছে উঠিয়ে দিতে নারাজ সেলিম।
লাবলীর স্বামী কামাল জানান স্থানীয় ৫ নং ওয়াডের সেলিম মেম্বার তার রুম কক্ষে আমার স্ত্রী লাবলীকে এক দিন এক রাত রাখার পর তিন দিনের মাথায় সাংবাদিক ডেকে তাদের হাতে উঠিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভাই এবার আমার বাসা থেকে নিয়ে একটু হাসপাতালে ভর্তি করেন মহিলাটা খুব অসুস্থ্য ওর স্বামী নাকি ওরে মারছে। ঠিক সাংবাদিকরা তাই করলেন স্থানীয় সেলিম মেম্বার কথা শুনে তারা তাকে মামলা করিয়ে দিবেন বলে তারা তাকে মেম্বার কথামত উঠিয়ে এনে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন পরে রাতে তারা আবার ভাত ও পানি দিয়ে আসেন অভিযোগ ছয় সন্তানের জননী লাবলীর স্বামী কামালের।
স্থানীয় ৫ নং ওয়াডের সেলিম মেম্বারের এমন কর্মকান্ডে জনমনে ঘৃনার সৃস্টি হয়েছে।
বুধবার রাতে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে ৫ নং ওয়াডে ব্যাপারি বাড়ি স্বামীর ঘরে রাত ১১.৩০ মিনিটের সময় এই ঘটনা ঘটে।
লাবলীর স্বামী কামালের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন পরোকিয়া করতো আমি জানতাম তার পর কিছু কইতাম না কারন চাইছি দেখি ভালো হয়নি দেখি না ভালো হয়। আমি রাজমেস্ত্রীর কন্টেকটার আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানের জন্য ঢাকা একটি ফ্লাট বাসা নিছি সেখানে দেখি এই অবস্থা।
আমার স্ত্রী লাবলীর এই অবস্থা দেখে আমার স্ত্রীকে গ্রামের বাসায় নিয়ে আসি এবং গ্রামের বাসায় আনলে ও তিনি খারাপ কাজ থেকে বিরত হননি লাবলী বেগম।
গত বুধবার আমি বাজারে গেলে বাজার থেকে রাত ১১ টার সময় বাসায় ফিরলে রাত দেখে আমার নাতি সাগর ও আমার স্ত্রী লাবলীর সাথে খারাপ অবস্থায় তা দেখে আমার মাথা খারাপ হয়ে যায় তখন আমি তাদের দুইজনকে হাতে নাতে ধরে মারি এবং মারার পর আমার স্ত্রী ও আমার নাতি সাগর দুইজন পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা ধরে তাদের কে যার যার গার্ডিয়ানদের হাতে আবার পূনরায় তাদের ঘরে পৌছে দেন।
কামাল আরো জানান, আমার স্ত্রীর চরিত্র খারাপ তাই আমি মারছি আমার স্ত্রী আমার ঘরেই থাকবে কিন্তু সেলিম মেম্বার আমার স্ত্রী লাবলীকে কেন বা তার বাসায় দুই দিন রাখবে আর রাখার পর কেন বা দুই দিন পর সাংবাদিক দিয়া আমার স্ত্রীকে আমাদের বিনা অনুমতি হাসপাতালে ভর্তি করবে।
আমি সেলিম মেম্বারের বিচার চাই কেন সেলিম মেম্বার আমার স্ত্রীকে বাসায় রেখে অসুস্থ করছে আমার স্ত্রীকে কি করছে আমি জানি না।
এই বিষয় স্থানীয় ৫ নং ওয়াডের মেম্বার সেলিম হাঃলাদের সাথে কথা বললে তিনি জানান লাবলীকে লাবলীর স্বামি কামাল মারছে আর আমি ঘরে জায়গা দিছি তাতে কি আমার অপরাধ হইছে।
হ্যা তিনি স্বীকার করেন আমার অপরাধ একটা তারা রাতে আসছে আমি তাদের হাতে উঠিয়ে না দিয়ে আমি আমার বাসায় দুই দিন রেখে তিন দিনের মাথায় সাংবাদিক ডেকে তাদের হাতে উঠিয়ে দেই এটা আমার অপরাধ এছাড়া তো আর কোন অপরাধ নেই আমার।
প্রতিবেদক, সেলিম মেম্বারকে ছয় সন্তানের জননী লাবলী কে দুই দিন রাখা কি তার কোন অধিকার আছে কিনা এমনে প্রশ্নে সেলিম মেম্বার বলেন, তখন ভালো দেখছি তাই রাখছি কিন্তু যখন বাসায় দুই দিন রাখছি তখন রাখার পর খারাপ দেখে সাংবাদিক ডেকে লাবলীকে উঠিয়ে দেই।
স্থানীয় গিয়াস চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমাকে আমার পরিষদের মেম্বার সেলিম জানিয়েছে লাবলীর স্বামী কামাল লাবলীকে মারছে লাবলী সেলিমের বাসায় এসে পৌছসে লাবলী এখন সেলিম মেম্বারের বাসা থেকে যাইতে চাই না। তখন আমি সেলিম মেম্বার কে বললাম আমি বিষয়টি সমাধান করে দেব এই পর্যান্ত জানি আর কি হইছে আমি জানি না ভাই।
ছয় সন্তানের জননী লাবলী বেগমের সাথে কথা বলে লাবলী বেগম জানান আমার স্বামী দশটি বিয়ে করেছে ওর সাথে আমার সংসার আজ থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর আমি ছয় সন্তানের মা আমার আগে একটি বিয়ে হয়েছে সেই ঘরে দুই সন্তান আছে এক সন্তান মারা গেছে আর এক সন্তান আছে আর এই ঘরে তিন সন্তান নিয়ে বর্তমানে আমি ঘর সংসার করতেছি। লাবলী জানান আমার নামে আমার স্বামি যে অপবাদ দিছে আসলে সত্যি না ও হলো আমার নাতি ও আর আমি ঐ রাতে একসাথে আমার বেড রুমে শুয়ে ছিলাম আর ঠিক ঐ সময় আমি স্বামী রাত ১১.৩০ মিনিটের সময় এসে রুমে দেখে সন্তেহ করে আমাকে মারথর করেছে।
তিনি বলেন আমার স্বামী কামাল সাগরের মার সাথে প্রেম করে কই আমি তো কিছু কই নাই আর আমি নাই একটু নাতিকে নিয়ে রাতে এক সাথে শুইছি তাতে আমার দোষ।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।