ব্রেকিংঃ

অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান ভোলায় চলমান থাকবে-জনতার বাণী

স্টাফ রিপোটারঃ
ভোলার নদ-নদী, খাল ও জলাশয়ের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার ঘুইংগারহাট খালের দুই পাশ থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় খালের দুই পাশ থেকে ২৫টি ছোট-বড় পাকা ও আধাপাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এর অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘুইংগারহাট খালটি ঘুইংগার বিল থেকে শুরু করে জাঙ্গালিয়া নদীতে গিয়ে মিশেছে। এর দৈর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার। এর প্রায় ২৫০ মিটার যায়গা বিভিন্ন মানুষের দখলে চলে গেছে। প্রায় এক দশক ধরে অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে খালটি। খালটির দুই পাড়ে পাকা ও আধাপাকা প্রায় ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যার ফলে এ খালটির পুরোপুরি পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে এলাকার কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। গত ১০ বছর আগেও এ খালটি দিয়ে নৌকা ও ট্রলার চলাচল করতো। কিন্তু অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে এ খালটি বর্তমানে মৃতপ্রায়।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার জানান, গত এক বছর আগে ঘুইংগারহাট খালের অবৈধ দখলদারকে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এবং গত তিন আগেও সকর্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ গত এক সপ্তাহ আগেও তাদেরকে খালের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কেউ কেউ সরিয়ে নিলেও বেশীর স্থাপনা সরানো হয়নি। তাই আজকে আমরা পান্নি উন্নয়ন বোর্ডের সচিবের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পারিচালনা করি। পর্যায়ক্রমে ভোলার সকল খাল-ও জলাশয়কে অবৈধ দখলদারদের দখল থেকে মুক্ত করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিদওয়ানুল ইসলাম বলেন, প্রথমিকভাবে খালরে দু’পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে যারা এগুলো নির্মান করেছে তাদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।