ব্রেকিংঃ

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় বিএনপি জামাত ভোলায় জেলা আ’লীগের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল।।

সারা দেশে বিএনপি জামাতের নৈরাজ্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার হুমকিতে ভোলায় আওয়ামী বিক্ষোভ মিছিল

এম রহমান রুবেল।।
সারা দেশে বিএনপি জামাতের নৈরাজ্য ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার হুমকিতে ভোলায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

শনিবার (৪ জুন) সকালে জেলা আ’লীগের কার্যালয়ের থেকে জেলা আ’লীগের উদ্যোগে সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রদক্ষিন করে দলীয় কার্যালয়ে এসে সমাপ্তি করে।

মিছিলিটি ভোলা জেলা আ’লীগ কার্যালয়ে আসলে কার্যালয়ের সামনে বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা।
এসময় জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আসন্ন জেলা আ’লীগের কাউন্সিলে সম্ভব্য সাধারন সম্পাদক পদ প্রার্থী সাবেক বানিজ্য মন্ত্রীর পুত্র মইনুল হোসেন বিপ্লব বলেন,, বিএনপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী-অছাত্রদের সমাবেশ ঘটিয়ে স্লোগান দিয়েছে, ‌‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’।
এই স্লোগান বিএনপি দেওয়ার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে পঁচাত্তরে হত্যাকাণ্ড তারাই ঘটিয়েছে, জিয়াউর রহমানই ঘটিয়েছে। সেটি তারা স্বীকার করে নিয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে’ বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে দেশের নিজস্ব টাকায় যখন পদ্মা সেতু হয়েছে তখন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও তাদের সমালোচনায় ভরে গেছে, লজ্জায় তাদের মাথা হেঁট হয়েছে। একারণে তারা সমগ্র বাংলাদেশে ভিন্ন রকমের একটা পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে মানুষের মধ্যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে যে আনন্দ উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে তা নষ্ট করা যায়।’
আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বিএনপি-জামাতকে প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট’ উল্লেখ করে বিপ্লব বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে সমগ্র বাংলাদেশে আবার ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টাকারী এই বিএনপি-জামাতের অপশক্তিকে আমাদের প্রতিহত করতে হবে।

এদেশের আপামর গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে আছে এবং থাকবে।

‘এই বাংলাদেশে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলো সেই বিএনপি-জামাত আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ওরা লাশ চায়, ওরা লাশের রাজনীতি করে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, ওদের রুখতে হবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি দোস্ত মাহমুদ, এডভোকেট জুলফিকার আহমেদ,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এনামুল হক আরজু, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক,সফিকুল ইসলাম, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ প্রমুখ।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, পৌর আ’লীগ সাধারন সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ পলাশ সহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কৃষকলীগ, তাতীলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।