ব্রেকিংঃ

তাদের এখনই এমপি হওয়া খুব জরুরি?

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক :
এরপরই সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে মাশরাফি-সাকিবের ভক্ত ও ক্রীড়ানুগারীরা নানা আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় তোলেন।

সাংবাদিক সাজ্জাদ মাহমুদ খান তার ফেসবুক টাইমলাইনে লেখেন, মাশরাফি-সাকিব সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবেন নাকি বিশ্বকাপের?

ক্রিকেট আমাদের বিশ্বের দরবারে পরিচিতি দিয়েছে। আমরা দলমতের উর্ধ্বে ক্রিকেট ভালোবাসি। কয়েকমাস মাত্র বাকি বিশ্বকাপের। তাদের কি এখনই এমপি হওয়া খুব জরুরি? তিনি আরও লেখেন, ‘দলবাজিতে প্রত্যেকটা পেশা ডুবেছে। আমলা, চিকিৎসক, সাংবাদিক থেকে বুদ্ধিজীবী পেশার উন্নয়নের চেয়ে দলবাজিতে উস্তাদি দেখাতে ব্যস্ত। যেখানে দলবাজি ঢুকেছে সেখানেই পেশাদারিত্ব হারিয়েছে। দলবাজি না করে পেশাদার হলে দেশ, দল ও মানুষের উপকার হবে।

নওগাঁর আবদুস সোবহান সাগর নামের একজন তার ফেসবুকে লেখেন, প্রিয়, মাশরাফি ও সাকিব তোমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দুই নক্ষত্র। আমরা সাধারণ সমর্থক যারা পাগলের মতো তোমাদের সমর্থন করি। সেটা ক্রিকেটের জন্য। সেই সমর্থনের সুযোগ তোমরা নিও না।এটা আমাদের ক্রিকেটের যে ক্ষতিটা হবে সেটা হবে অপূরণীয়। মাঠে তোমরা যখন খেলো, চায়ের দোকানে বা বিভিন্ন ক্লাবে বসে খেলা দেখি। তখন ওই দোকানে বসা ১০০ জনের মধ্যে ১০০ জনই তোমাদের সমর্থন করে। এখন কি তোমরা (নির্বাচনে দাঁড়ালে) সে সমর্থন পাবে? হয়তো তোমরা চাচ্ছো এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আরো কাছে আসতে। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীতও হতে পারে।

আর যদি তোমরা একান্তভাবে মানুষের সেবা করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলো তাহলে,পাকিস্তানের ইমরান খানের মতো সিদ্ধান্ত নিও। শূন্য থেকে শুরু করো। কোনো রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নয়।প্রয়োজনে নিজেরাই নতুনভাবে রাজনৈতিক দল গঠন করো। আমরা যুব সমাজ তোমাদের সমর্থন দেব।

অভি জামান নামের একজন তার ফেসবুক টাইমলাইনে লেখেন, ‘ খেলা এবং রাজনীতি ! দুইটা একসাথে। দুটোতেই যদি মন দিয়ে কাজ করা হয় তাহলে অবশ্যই দেশের নাম এবং উন্নয়ন উভয়ই হবে। এখন তারা কিভাবে সেটা পরিচালনা করবে সেটাই দেখার বিষয়। বেস্ট অফ লাক ম্যাশ এবং সাকিব।

আহমেদ ইফতি নামের একজন লেখেন, শুনলাম সাকিব-মাশরাফি নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছে। ঘটনা কতখানি সত্য? ২০১৯ বিশ্বকাপে কি তবে আমরা সংসদ সদস্যদের মাঠে দেখতে পাবো?

সাংবাদিক হাবিবুর রহমান খান লেখেন, ‘এখন থেকে জাতীয় ক্রিকেট দলও পরিণত হতে হচ্ছে আওয়ামী ক্রিকেট দলে। কারণ, ক্যাপ্টেন যখন কোনো দলের কান্ডারি হয়ে যান তখন তাদের জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন বলা যায় কিনা জানি না। এখন থেকে মাশরাফি-সাকিবরা ১৬ কোটি নয়, একটি দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ক্যাপ্টেন হতে যাচ্ছেন। এমপি হওয়ার এতো শখ তাহলে জাতীয় দলের জার্সিটা খুলে নিলেই পারতো। হায়রে রাজনীতি। তার ওই কমেন্টের মন্তব্যে আক্তারুজ্জামান বাচ্চু নামের একজন লেখেন, ‘আওয়ামী লীগ ভাবমূর্তি সংকট থেকে বের হওয়ার জন্য মাশরাফি, সাকিবদের ব্যবহার করছে; এখন মাশরাফি সাকিবরাও সংকটে পড়বে।’ শহীদুল ইসলাম দীপু নামের একজন বলেন, ‘এটা ১৬ কোটি জনগণের আবেগ নিয়ে ঠাট্টা।’

এদিকে মৃধা সুপায়েল নামের একজন মন্তব্য করেন ‘২০১৯ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচের ধারাভাষ্য যেমন হবে- ‘বল হাতে এগিয়ে যাচ্ছেন নড়াইল-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা মাশরাফি বিন মুর্তাজা। বল করলেন এবং আউট।’

‘আবারও হাফ সেঞ্চুরি করলেন ক্রীড়াবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, মাগুরার উন্নয়নের রূপকার, জনাব সাকিব আল হাসান এমপি।’

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারুক আহমেদ খান লেখেন, ‘খেলায় থাকা অবস্থায় কোন দল করা ঠিক হবে না।কারণ তারা শুধুই বাংলাদেশ দল। মাহী মিয়াজী লেখেন, একটি দলের কাছে বিক্রি না হয়ে দল গঠন করা উচিত।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওমর ফারুক শাহীন নামের একজন মতামত দেন, ‘ইমরান খান নিজে দল করে দেশ চালাচ্ছে। এমবিশন আরো বড় হওয়া উচিত। মাশরাফি কে কোন খুচরা জিনিস মনে হয় না আমার কাছে।’

ইমরান হোসাইন নামের একজন মতামত দেন, ‘মাশরাফির রাজনীতিতে পদার্পণ একটা নতুন যুগের সূচনা করলো। তার দেশ প্রেম আমাদের সারাজীবনই আমাদের মুগ্ধ করেছে। তার শরীরে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ইনজুরি নেই। তার প্রত্যেকটি ইনজুরি এক একটি দেশ প্রেমের ক্ষত হয়ে আছে এটা আমরা সবাই জানি। তার জন্য গর্ভে আমার বুক ভরে গেলো। সত্যি সত্যি আনন্দে কান্না পাচ্ছে। একটা মানুষ এতো ভালো হয় কীভাবে?’

রাশেদুল ইসলাম শেখ নামের একজন আক্ষেপ করে লেখেন, ‘দল বল নির্বিশেষে এতো মানুষের ভালোবাসা ওরা এই ভাবে শেষ করে দিবে?’

মিলন আহমেদ নামের একজন প্রযুক্তিবিদ ফেসবুকে মন্তব্য করেন, ‘এদেশে নির্বাচন করলে কারো সন্মান কমে, বৈ বাড়ে না ।এতটুকু বুঝার মত আক্কলজ্ঞান কি তাদের নেই?

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।