ব্রেকিংঃ

ঢাকার ২টি আসনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টে দ্বিমত

জনতার বাণী ডেক্স।।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে বিএনপির আসন বণ্টনে ৩টি আসন নিয়ে কঠিন দ্বিমত দেখা দিয়েছে। এ ৩ আসনের মধ্যে ২টি আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী থাকার কারণে ছাড় দিতে চাইছে না তারা।

অন্য দিকে ঐক্যফ্রন্টও আসন দুটি ব্যাপারে আপোষ করতে নারাজ। যদিও ঢাকার ১টি আসন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদকের জন্য ছাড় দিতে রাজি বিএনপি।

জানা যায়, আসন বন্টনের বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের অন্য দুই শরিক জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যকে সন্তুষ্ট করতে পারলেও গণফোরামকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না বিএনপি। ফলে দফায় দফায় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পরেও আসন ভাগাভাগির ফয়সালা হচ্ছে না। ফলে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগের দিন পর্যন্ত গড়াতে পারে আসন বণ্টন নিয়ে দরকষাকষি। যদিও ইতোমধ্যে দীর্ঘদিনের মিত্র ২০ দলীয় জোটের সাথে আসন বণ্টনের বিষয়টি ফয়সালা করেছে বিএনপি।

এদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, আসন বণ্টন নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে কোনো ফাটল তৈরি হবে না। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বরের আগেই বিষয়টির চূড়ান্ত ফয়সালা হয়ে যাবে।

আপর দিকে গণফোরামের নেতারা বলছেন, আসন বণ্টনের বিষয়ে বিএনপিকে আরও উদার হতে হবে। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির বিষয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন ড. কামাল হোসেন ও মোস্তফা মহসীন মন্টু। ড. কামাল হোসেনের কারণেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন থলে থেকে বের হতে পারছেন। সুতরাং দলের সাধারণ সম্পাদক মন্টুকে বিএনপির ছাড় দেওয়া উচিত।

এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে মনোনয়ন জমা দেয়া নিয়েই। জানা যায় আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত না হওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোকে নিজেদের মতো করে মনোনয়ন জমা দিতে বলে বিএনপি। ফলে নিজেদের মতো করে মনোনয়ন জমা দেন শরিক দলগুলোর প্রার্থীরা।

সূত্র মতে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিকদের ৬০টির মতো আসন ছাড় দিতে পারে বিএনপি। এর মধ্যে ২০ দলীয় জোটে জামায়াতকে ২৫ ও অন্য শরিকদের ১৫টি আসন ছাড় দিয়েছে বিএনপি। আর বাকি ২০টি আসন গণফোরাম, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যকে দিতে চায় বিএনপি।

এখন গণফেরাম ওই তিন আসনে তাদের প্রার্থী দিতে এখনও অনড় থাকায় বিষয়টির সুরাহা হতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগের দিন পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিস্টরা।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।