ব্রেকিংঃ

অসহয়াত্তের শেষ কোথায়, ভোলায় বেঁচে থাকতেই নিজের কাপনের কাপর কাঠ বাশ কিনেছে এক বৃদ্ধা

মোঃ বিল্লাল হোসেন।।

নিজের কাপনের কাপরসহ আতর বাঁশ কিনেছেন ভোলার বাপ্তা ডোম পট্রির মৃত কালু মিয়ার ছেলে আবু মিয়া(৭০) নামের অসহয়ায় এক ব্যাক্তি ।
গতকাল রাত ৮টার সময় শহরের নতুন বাজারে নিরবে বসে কাঁদতে দেখে স্থানীয়রা তার ব্যাগ চেক করে পাওয়া যায় নিজের জন্য ক্রয় করা নতুন কাপনের কাপর।
আবু মিয়ার সন্তান কোন খোজ খবর নেননা বলে তিনি বিভিন্ন স্থানের পরিতেক্ত্য আবর্জনার স্থুপ থেকে ভাংঙ্গা কাঁচের টুকরা, বাতিল কাগজ, শিশি বোতল, প্লাস্টিক প্রভৃতি সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে জীবন-জীবিকা নিবাহ করছেন। বৃদ্ধ বয়সে শত অভাব অনটনের মধ্যে জীবনের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকলেও ভিক্ষা করবেন না তিনি। যদি বেঁচে থাকা সম্ভব হয় তবে পরিশ্রম করেই দুবেলা দুমুঠো খাবারের ব্যাবস্থা করে বেঁচে থাকবেন। উপস্থিতিদের শত অনুরোধে কান্নাজনিত কন্ঠে এসব বলেন আবু ( বিহারী) মিয়া।
তিনি আরো জানান, তার সন্তান তার কোন খোজ খবর নেননা, অভাব অনটনের কারনে বহু আগেই স্ত্রীও চলে গেছেন অন্যের সাথে। মাথাগুজো ঠাঁই নেই। কোন কাজও করতে পারেননা তিনি, তাই এই বয়সেও অসুস্থ শরির নিয়ে বিভিন্ন ময়লা স্তুপ থেকে কাগজ, বোতল কুরিয়ে বেঁচে আছেন, রাত হলে পরিত্যক্ত জায়গায় শুয়ে পরেন তিনি।
মরে গেলে কাপনের কাপর কিনবেন কে, অন্যরা মানুষের কাছে হাত পেতে টাকা তুলে তার দাপন করতে হবে তাই তিনি বেঁচে থাকতেই নিজের কাপনের কাপর কিনেছেন, পকেটে আর টাকা নেই তাই গতকাল কাঠ বাঁশ কিনতে পারেনাই, আজ আয় করে আতরসহ কাঠ বাঁশ অনুষাঙ্গিক কিনবেন।
উপস্থিত কয়েকজন জানান, আবু মিয়া
গরিব হলেও তিনি এক কথার লোক। সে কারো কাছে হাত পাতেন না, রোজি রোজগায় হলে পেটে ভাত যোটে, না হলে ঘরে উপোস পরে থাকেন। কারো সাথে অন্যায় করেন না।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।