ব্রেকিংঃ

ভোলায় তজুমদ্দিনে জেলে ট্রলারে জলদস্যু হামলা ৪ জলদস্যু আটক

এম মইনুল এহসান ॥

ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনায় মাছ ধরা অবস্থায় জেলে ট্রলারে হামলা চালিয়ে নৌকা ও মাঝিকে অপহরণ করা হয়েছে। পরে মুক্তিপন দিয়ে জেলেরা ছাড়া পেয়ে ডাকাতির বিষয়টি তজুমদ্দিন থানায় জানালে, পুলিশ আজ শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার জলদস্যুকে আটক করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপনের টাকাও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দস্যুদের বিরুদ্ধে তজুমদ্দিন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে তজুমদ্দিন থানার ওসি।
থানা সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৯ টার দিকে সুইসগেট এলাকার কবির মাঝি ও আব্দুল্লাহ মাঝি মেঘনা নদীর সোনার চর এলাকায় মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে। এ সময় হঠাৎ জলদস্যু ফরহাদ বাহিনীর প্রধান ফরহাদের নেতৃত্বে জেলেদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় ঘাট থেকে নেয়া দস্যুতার কাজের ব্যবহৃত ট্রলারে জেলেদেরকে তুলে দিয়ে জেলে ট্রলার ও মাঝিদের অপহরণ করে নিয়ে মাঝিদের আতœীয়-স্বজনের কাছে মোবাইলের মাধ্যমে মুক্তিপণদাবী করে জলদস্যুরা। দস্যু বাহিনীর প্রধান ফরহাদের দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন লঞ্চঘাট এলাকায় রাত ৩ টায় মুক্তিপণের ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মাঝিদেরকে ছাড়ান তাদের আতœীয়-স্বজনরা। এ সময় তারা জলদস্যুদের চিনতে পারেন। পরে তারা বিষয়টি তজুমদ্দিন থানাকে অবহিত করলে ওসির নেতৃত্বে পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ জলদস্যুকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, শাকিল (১৭), মোঃ খোকন (১৭), রাহিম (১৫) ও খোকন (১৬)। এ সময় দস্যুদের কাছ থেকে মুক্তিপণের ৮ হাজার ৫শত টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে দালাল কান্দি গ্রামের আব্দুর রব মাঝি’র ছেলে ও জলদস্যু বাহিনীর প্রধান ফরহাদ ও অন্য সদস্য নুছাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ । তবে তাদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে তজুমদ্দিন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনজার্চ আলহাজ্ব মোঃ ফারুক আহাম্মদ জানান, জলদস্যুদের অন্য দুই সদস্যকে আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যে কোন মূল্যে তাদেরকে আমরা আটক করবো।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।