ব্রেকিংঃ

বঙ্গবন্ধুর ঋণ বাংলার মানুষ কোন দিন পরিশোধ করতে পারবে না- বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল।।

এম রহমান রুবেল।।
হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মৃতিচারন করতে গিয়ে ৬৯ এর মহানায়ক সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব আঃলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ভোলা ১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঋন বাংলার মানুষ কোন দিন ও শোধ করতে পারবে না

৬৯ এর ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতির জনক কে আমি বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছি। তিনি বলেন, ভোলা জেলার আঃলীগ এখন অনেক বেশি শক্তিশালি এক এবং অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। বিএনপি কে উদ্দেশ্য করে বলেন, জিয়ায়ুর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিল তখন স্বাধীনতা বিরোধী চেতনায় মুল্যবোধ বিরোধীদের রাজনিতি পূর্নবাসন করেছিল। আর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা কালে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিল। ৬৯ এর গন আনন্দলনের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমার স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠে, তিনি বলেন ২০০২ সালে আমি সিংগাপুর থেকে বাংলাদেশ আসলে তখন বিএনপির কুখ্যাত হাফিজেরর করা একটি মামলায় আমাকে বিমান বন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে কোটে নিয়ে কাশিম পুর কারাগারে ফাশির আসামির মত রাখল।

কয়েক দিনে পরে আমাকে কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠায় তখন কুষ্টিয়া কারাগারে আমার হাতে হাত করা আর স্বাধীনতা বিরোধী মুজাহিদ মহান স্বাধীনতা অপরাধীর জন্য যার ফাসি হয়েছে তার গাড়িতে ছিল পতাকা।
৯৬ তে ভোটার বিহীন নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদকে পার্লামেন্টের সদস্য করেছিল তার কারনে বিএনপির আজ অতঃপতন। অথাৎ বিএনপির এই দুর অবস্থার জন্য মাত্র তারা আজ৬টি আসন পেয়েছে।
আঃলীগের জন্ম ৪৯ সালে আজকে ৭০ বছর কত আঃলীগ উদ্বান পাতান হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কে ১৩ বছর কারাগারে বন্ধি করে রেখেছেন কিন্তু তিনি আপোষ করেনী আর আমরা যারা বাহিরে ছিলাম আনন্দলন সংগ্রাম করে বার বার বঙ্গবন্ধু কে মুক্তি করেছি।

১৯৬৯ সনে বঙ্গবন্ধুকে বিচারের মাধ্যমে আইয়ুব খা যখন ফাসি দেওয়ার চেস্টা করে তখন আমি আপনাদের তোফায়েল হিসেবে সর্বদলীয় ছাত্র সংসদ সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ১৭ জানুয়ারিতে আনন্দলন শুরু করি সার্জেন্ট জহুরুল হক, মকবুল, মতিউর, রুস্তম,আলমগীর, সামসুজ্জামন সহ অনেকের রক্তের বিনিময় বঙ্গবন্ধুকে ২২ জানুয়ারি ফাসির মঞ্চ থেকে মুক্ত করি এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি সরয়ারদি উদ্যানে ১০ লক্ষ লোকের সভায় আমি ২৬ বছর বয়স সভায় সভাপতি। আমি জাতির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকে এই কথা বলে উপাধি দিয়েছি।
প্রিয় নেতা কারাগারের অন্ধকার প্রকোস্টে বসে বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্টার জন্য তোমার জিবন উৎস্বর্গ করেছ,কারাগারের অন্ধকার প্রকোস্টে বসে বাংলার মানুষের ছবি তোমার হৃদয়ে অংকন করেছো প্রিয় নেতা আজ রক্ত দিয়ে জিবন দিয়ে তোমাকে আমরা কারাগার থেকে মুক্ত করেছি।

আজ আমরা তোমার কাছে ঋনী এই ঋন কোন দিন শোধ করতে পারবো না। আজকে তোমার কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ জাতির পক্ষ থেকে স্বচিত্রে একটি উপাধি দিয়ে সেই ঋনের বোঝা হালকা করতে চাই,
সেই দিন ১০ লক্ষ লোকের ২০ লক্ষ হাত উঠানোর সময় তখনি আমি বলেছিলাম যে নেতার জিবনেরর যৌবন কাটিয়ে ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে ফাসির মঞ্চে দাড়িয়ে মুত্যুকে আঙ্গিন করেছেন সেই নেতাকে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে স্বচিত্রে শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম
তিনি তুনমুল আঃলীগের কর্মি সমাবেশে কর্মিদের উদ্দেশ্য আরো বলেন আমি ভোলায় জন্ম গ্রহন করে ধন্য হয়েছি কারন আমি আপনার ভোলার তোফায়েল শেখ মুজিবের মত মহান জাতির পিতাকে বঙ্গবন্ধু বলে উপাধি দিতে পেরেছি।
জিবনে আমার আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই সব চাওয়া পাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরর সময় ই পূরন হয়ে গেছে।আমার অনেক সৌভাগ্য আমি আপনাদের ভোলার তোফায়েল হয়ে ই বঙ্গবন্ধুর সাথে পৃথিবীর সব রাষ্ট্রে ঘোড়ার সুযোগ হয়েছে। তিনি আরো আজ বাংলাদেশ অনেক উন্নত এবং আত্নমর্যাদা শালি একটি দেশ।

তিনি পরিশেষে বলেন আমি যদি বেচে থাকি এই ভোলাকে একটি আধুনিক শিল্প নগড়ি ও পর্যাটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবো এবং এই স্বপ্নের দ্বীপ ভোলাকে স্বপ্নের সিংগাপুরের ন্যায় আদলে করার চেস্টা করবো ইনশাল্লাহ।
আমার ভোলার ছেলে এবং মেয়েরা চাকরি খুজতে আর ভোলার বাহিরে যাওয়া লাগবেনা আমাদের ভোলায় অনেক শিল্প কারখানা হচ্ছে এবংঅচিরে আরো হবে কারন আমাদের অনেক গ্যাস আছে যা অনেক জেলাতে নেই সুতরা এখানে অনেক শিল্প কারখানার মালিকেরা শিল্প কল কারখানা করার আগ্রত প্রকাশ করছেন।
সদর উপজেলার মুল্যায়ন কার্যক্রমের তৃতীয় দিনে ধনিয়া ও চরস্যামাইয়া আঃলীগের কেন্দ্র কমিটির নেতারা এ সমাবেশে অংশগ্রহন করেন।

এসময় জাতিয় নির্বচন নিয়ে মাঠ পর্যায়ের নেতারা তাদের মুল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন সাবেক শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে।উপজেলা আঃলীগ সভাপতি দ্বিতীয় বারের মত নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের সফল চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেল ভোলা জেলা আঃলীগের সংগ্রামি সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, জেলা আঃলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, তারুন্যের অহংকার, কর্মি বান্ধব নেতা কর্মিদের আপনজন কর্মি বন্ধু সর্ব মহলের আস্তা বিপদের সাথি ভোলা জেলা আঃলীগের সফল স্বার্থক সংগ্রামি সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক শিল্প – বানিজ্য মন্ত্রী ভোলা ১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদে এমপি মহোদয়ের সুযোগ্য পুত্র মইনুল হোসেন বিপ্লব, উপজেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক নজুরুল ইসলাম গোলদার।

এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জেলা আঃলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এনামুল হক আরজু, জেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাক ও জেলে রেডক্রিসেন্ট এর সাধারন সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন চরস্যামাইয়া ও ধনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সভাপতি এবং সাধারন সহ ওয়ার্ডের  কর্মিরা।

 

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।