ব্রেকিংঃ

ভোলার মানুষের কাছে আমি চির ঋণী হয়ে থাকবো : তোফায়েল আহমেদ

 এম রহমান রুবেল।। বাংলার জীবন্ত কিংবদন্তী আঃলীগের বর্ষিয়ান নেতা উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য সাবেক শিল্প – বানিজ্য মন্ত্রী ভোলা ১ আসনে সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেন, আমি ভোলার মানুষের কাছে চির ঋনী ভোলার মানুষের ঋন কোন দিন শোধ করতে পারবো না কারন আমাকে ভোলার মানু্ষ আমাকে সংসদ সদস্য করেছেন তাই আমি আপনাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন ৬৯ এর ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতির জনক কে আমি বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। বিএনপি কে উদ্দেশ্য করে তোফায়েল বলেন, বিএনপি দলের মধ্যে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। কর্মিরা নেতাকে বিশ্বাস করে না। এক নেতা আরেক নেতাকে বিশ্বাস করে না। অথচ আমাদের দল তৃনমুল বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আঃলীগ এখন তৃনমুল থেকে কেন্দ্র পর্যান্ত ঐক্যবদ্ধ।

মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় ভোলা বাংলাবাজার ফাতেমা খানম ডিগ্রী কলেজে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে পুরুস্কা ল্যাপটপ বিতরন অনুষ্টানে প্রধান অতিথি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিল তখন স্বাধীনতা বিরোধী চেতনায় মুল্যবোধ বিরোধীদের রাজনীতিতে পূর্নবাসন করেছিল। আর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা কালে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিল। আঃলীগের জন্ম ৪৯ সালে আজকে ৭০ বছর কত আঃলীগ উদ্বান পাতান হয়েছে। ১৯৬৯ সনে বঙ্গবন্ধুকে বিচারের মাধ্যমে আইয়ুব খান যখন ফাসি দেওয়ার চেস্টা করে তখন আমি আপনাদের তোফায়েল হিসেবে সর্বদলীয় ছাত্র সংসদ সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ১৭ জানুয়ারিতে আনন্দলন শুরু করি সার্জেন্ট জহুরুল হক, মকবুল, মতিউর, রুস্তম,আলমগীর, সামসুজ্জামন সহ অনেকের রক্তের বিনিময় বঙ্গবন্ধুকে ২২ জানুয়ারি ফাসির মঞ্চ থেকে মুক্ত করি এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সোহরাউর্দী উদ্যানে ১০ লক্ষ লোকের সভায় আমি ২৬ বছর বয়স সভায় সভাপতি। আমি জাতির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকে এই কথা বলে উপাধি দিয়েছি।

প্রিয় নেতা কারাগারের অন্ধকার  বসে বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তোমার জিবন উৎস্বর্গ করেছ, কারাগারের অন্ধকার প্রকোস্টে বসে বাংলার মানুষের ছবি তোমার হৃদয়ে অংকন করেছো প্রিয় নেতা আজ রক্ত দিয়ে জিবন দিয়ে তোমাকে আমরা কারাগার থেকে মুক্ত করেছি। আজ আমরা তোমার কাছে ঋনী এই ঋন কোন দিন শোধ করতে পারবো না। আজকে তোমার কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ জাতির পক্ষ থেকে স্বচিত্রে একটি উপাধি দিয়ে সেই ঋনের বোঝা হালকা করতে চাই, সেই দিন ১০ লক্ষ লোকের ২০ লক্ষ হাত উঠানোর সময় আমি বলেছিলাম যে নেতার জিবনেরর যৌবন কাটিয়ে ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে ফাসির মঞ্চে দাড়িয়ে মুত্যুকে আঙ্গিন করেছেন সেই নেতাকে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে স্বচিত্রে শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম।

সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেন, আমি ভোলায় জন্ম গ্রহন করে ধন্য হয়েছি কারন আমি আপনাদের ভোলার তোফায়েল শেখ মুজিবের মত মহান নেতা জাতির পিতাকে বঙ্গবন্ধু বলে উপাধি দিতে পেরেছি। আজ বঙ্গবন্ধুর নামটি সারা বিশ্বে পরিচিত। তিনি বলেন, জিবনে আমার আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই সব চাওয়া পাওয়া পূরন হয়েছে এখন শুধু একটা আশা অপূরন রয়েছে সেটা হলো ভোলা – বরিশাল ব্রিজ সেটা ও অচিরেই পূরন হবে ইনশাল্লাহ। আমি যদি বেচে থাকি তাহলে ভোলাকে বরিশালেরর মাঠির সাথে সংযুক্ত করে দিব আর তখন আপনিরা পদা সেতু পারি দিয়ে ৪ ঘন্টার মধ্যে দিয়ে ঢাকা যেতে পারবেন। অচিরেই ভোলা বরিশাল ব্রিজের কাজ শুরু হবে আমার অনেক সৌভাগ্য কারন আমি ভোলায় জন্মগ্রহন করেছি। আমি আপনাদের ভোলার তোফায়েল হয়ে ই বঙ্গবন্ধুর সাথে পৃথিবীর সব রাষ্ট্রে ঘুরার সুযোগ পেয়েছি। তিনি আরো বলেন আজ বাংলাদেশ অনেক উন্নত এবং আত্নমর্যাদা শালি একটি দেশ। তিনি পরিশেষে বলেন আমি যদি বেচে থাকি এই ভোলাকে একটি আধুনিক ভোলা এবং শিল্প নগড়ি ও পর্যাটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবো।এই স্বপ্নের দ্বীপ ভোলাকে স্বপ্নের সিংগাপুরের ন্যায়ে আদলে করার চেস্টা করবো। ভোলা হবে বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ট জেলা ইনশাল্লাহ।

 

আমি ভোলা বাংলাবাজারে আমার মায়ের নামে ফাতেমা খানম কমপ্লেক্স করেছি, মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র করেছি, বৃদ্ধানিবাস করেছি, মসজিদ করেছি, হাই স্কুল, ডিগ্রী কলেজ করেছি এবং আমার বাবা ও মায়ের নামে আজহার ফাতেমা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল করতেছি যাতে করে গরিব অসহায়রা যেন শিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়। মা ভক্ত তোফায়েল বলেন আমার মাকে আমি অনেক ভালো বাসি তাই মার নামে বাংলাবাজারে মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতে এতগুলো সেবা প্রতিষ্টান করেছি। তিনি বলেন ভোলা খুব সুন্দর ভোলা একদিন বাংলাদেশের মধ্য শ্রেষ্ট জেলায় রুপান্তিত হবে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকাল ১১ টার সময় বাংলাবাজার ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ৬৯ এর মহানায়ক ভোলা এক আসনের এমপি তোফায়েল আহমেদ। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিসেস আনোয়ারা আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,জেলা আঃলীগের যুগ্ন আঃলীগে সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, ভোলা চেম্বারেরর পরিচালক ফাতেমা খানম কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ সফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ, সাবেক অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র ঘোষ, অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান, প্রেস ক্লাব প্রতিষ্টা সম্পাদক ও বিটিভির জেলা প্রতিনিধি এম এ তাহের, উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, প্রমুখ।

 

 

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।