ব্রেকিংঃ

ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ২টি ফেরী বিকল, ঘাটে দীর্ঘ লাইন, চরম ভোগান্তি

যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বিকল হয়ে পড়েছে ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ২টি ফেরী। একটি ফেরী সচল থাকলেও উভয় পাড়ে আটকে আছে ৪ শতাধিক যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। ঘাটে দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও ফেরীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না তারা। এতে করে দুই পাড়ে দীর্ঘ লাইন পড়ায় গন্তব্যে যেতে পারছে না পন্যবাহি ট্রাকসহ অন্যান্য যানবহান। এতে চরম বিরম্ভনার, দুর্ভোগ আর লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সুত্র জানিয়েছে, দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম ভোলা-লক্ষীপুর ফেরী রুটটি দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম। এ রুটে কনকচাপা, কৃষানী ও কলমিলতা নামে ৩টি ফেরী নিয়মিত চলাচল করে আসছিলো। কিন্তু গত ২দিনে পর পর ২টি ফেরী যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বিকল হয়ে পড়ায় যানবাহন পারাপারে মারাতœক বিঘেœর সৃষ্টি হচ্ছে।
ট্রাক চালক ইদ্রিস, আকরাম ও রায়হান সহ অন্যরা জানান, ঘাটে তারা ৬/৭ দিন ধরে অপেক্ষা করছেন কিন্তু গন্তব্যে যেতে পারছেন না, কবে যেতে পারবেন তাও তাদের জানা নেই। তাদের অভিযোগ, দিনে একবার ফেরী চলাচল করে, তাই ঘাটেই বসে থাকতে হয়। ফেরী সচল না হওয়া পর্যন্ত ভোগান্তি পোহাতে হবে।
কয়েকজন ট্রাক চালক জানান, ভোলা-লক্ষীপুর রুটটি গুরুপ্তপূর্ন হলেও অবহেলিত, একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। এখাতে বাড়তি ফেরী প্রয়োজন। সামনে ঈদ খুব দ্রুত ফেরীর সমস্যার সমাধান না হলেও ভোগান্তির সীমা থাকবে না।
ঘাটে গিয়ে জানা গেল, একটি মাত্র সচল ফেরী দিয়ে কিছুটা যানবাহন পারাপার হলেও ফেরীর ট্রিপ কমে যাওয়ায় উভয় পাড়ে পরিবহনের দীর্ঘ লাইনজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে ট্রাক ও পরিবহন শ্রমিকরা।
কবে নাগাত ফেরী সচল হবে তাও জানেনা কেউ। বেশীরভাগ ট্রাকই ঘাটে ৫/৭দিন ধরে আটকে আছে। একের পর এক সমস্যার কারনে এ রুটটি এখন বিরম্বনায় আর ভোগান্তিতে অতিষ্ট চলাচলকারীরা। তাই এখানে আরো ফেরী চালুর দাবী তাদের।
তবে খুব দ্রুত ফেরী সচল হবে বলে জানিয়েছেন ফেরীর বিআইডব্লিটিসির ম্যানেজার মো: এমরান খান। তিনি বলেন, ফেরী সচল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে র টে জট কমে যাবে।
খুব দ্রুত ফেরী সচল করে জনগুরুপ্তপূর্ন রুটটির মাধ্যমে দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীদের ভোগান্তি কমানোর দাবী ভুক্তভোগীদের।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।