ব্রেকিংঃ

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় নাজিউর রহমান সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালিয়াতি করে টাকা উত্তলন করে ও এখন বহাল কতৃপক্ষ উদাসীন দেখেও না দেখার ভান।

 

অবশেষে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান স্বীকার করলেন প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান কাজ না বিল উত্তোলন এর কথা
এম রহমান রুবেলঃ পর্বা ২
ভোলা পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে অবস্থিত নাজিউর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা এলজিডি ইজ্ঞিনিয়ার শুভ্রত রায় কে মেনেজ করে উক্ত স্কুলের উন্নয়নমুলোক ক্ষুদ্র মেরামত কাজ না করে স্কুলের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি জসিমউদ্দিনের সই জাল করে পশ্চিম ইলিশা ইউপি সদস্য খালেক কে ভুয়া সভাপতি বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে প্রধান শিক্ষক বিএনপি নেতা আবুল হাসানের বিরুদ্ধে।
গত মাসের ৩০ /০৮/১৯ ইং তারিখে ভোলার বহুল প্রচারিত পত্রিকা দৈনিক ভোলার বাণীতে ও অনলাইন পোর্টাল জনতার বাণী ডট কম পত্রিকায় প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা এলজিডি ইঞ্জিয়ার শুব্রত রায় ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কে মেনেজ করে বর্তমান সভাপতি জসিমউদ্দিনের অনুপস্থিতিতে ক্ষুদ্র মেরামতের ২ লাখ টাকার বিল উঠানোর এমন অভিযোগে একটি নিউজ পত্রিকায় প্রবাশ পায় ।
পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মহলে প্রশংসার দাবিদার হয় দৈনিক ভোলার বাণী পত্রিকাটি।
নাজিউর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিএনপি নেতা আবুল হাসান এর নামে নিউজ হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচারন করেন এবং তিনি বলেন, আমি নিউজের প্রতিবাদ দিয়ে দিছি যাও এখন যা পার করো আমার কিছু হবে না।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় প্রধান শিক্ষক বিএনপি নেতা আবুল হাসানের ক্ষমতার দাপট। দেখা যায় তার কু কর্ম ও স্কুলে জাতীয় কোন দিবস বা অনুষ্টান পালন না করার বহু প্রমান এমনটাই জানালেন, স্কুলের নাম প্রকাশ না করা সহকারি শিক্ষককেরা।
বর্তমান নাজিউর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি জসিমউদ্দিন জানান প্রধান শিক্ষক আবুল হাসানের নামে তার কু কৃর্তি ও স্কুলের বরাদ্ধকৃত টাকার কাজ না করে বিল উত্তল সম্পর্কে উপজেলা প্রাথমিক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করা হলে ও আজ ও পর্যান্ত তার কোন সুরাহ ব্যাবস্থা করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তিনি আরো জানান কামরুজ্জামন স্যার যখন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন তার আমলে এই আবুল হাসান এই প্রতিস্টানে কোন কাজই করেন নাই প্রতিবছর একটা স্কুলের জন্য যে বরাদ্ধ হয় তার চার ভাগের এক ভাগ ও কাজ করেন নাই এই আবুল হাসান।
সভাপতি জসিমউদ্দিন জানান, একটা স্কুলের জন্য প্রতিবছর যে বরাদ্ধ আসে যেমন, স্লিপ বরাদ্ধ, ১০০০০০, রুটিন মেইন্টনেন্স ৪০’০০০,প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয় বরাদ্ধ ১০০০০,কন্টিনজেন্সি ৮৪০০, মডেম ( ইন্টার নেট) বিল ৪৮২০, আন্তঃ প্রাথমিক ক্রীড়া ২১০০ স্কুল প্রতি,আন্তঃ প্রাথমিক ক্রড়া ২৭০০( ইউনিয়ন কেন্দ্র স্কুল), এন্টি ভাইরাস ক্রয় ১০০, বিজয় ফুল ২০০, উপবৃত্তি কন্টিজেন্সি ১০০, বই পরিবহন ৪০০, মাল্টি মিডিয়া মেরামত ১১০০ টাকা, এবং ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২০০০০০ টাকা, ওয়াশ ব্লক মেরামত, ২০০০০ টাকা বরাদ্ধ আসলে ও তার কোন টাকা ই খরচ করেন নি এই প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান।
প্রতি বছর স্কুলের বরাদ্ধ নামের টাকা দিয়ে তার নিজের বহুতল ভবন তৈরিতে ব্যাস্ত বিএনপি এর প্রভাবশালি ওয়াড সভাপতি আবুল হাসান। কতৃপক্ষ এখনো উধাসীন কেন? কতৃপক্ষ জেনে ও না জানার ভান ধরেছেন বুজে উঠছেন সভাপতি ও ম্যানিজিংক কমিটির সদস্যবৃন্দরা।
স্কুলের শিক্ষকেরা জানান প্রধান শিক্ষক কোন দিন স্কুলে আসেন, আবার কোন দিন আসেন না, আমরা কিছুই বলতে পারি না কারন তার বাড়ি এই ওয়াডে তিনি বিএনপি করেন বলেই তিনি আঃলীগের কোন অনুষ্টান পালন করেন না। এমন কি রাষ্ট্রীয় কোন শোক দিবস যেমন ১৫-১৭-২১ আগস্টের মত দিবস গুলো ও তিনি পালন না করে না। তিনি কোন দিবস পালন না করে এড়িয়ে যান বলে জানান স্কুল শিক্ষক ছাত্র/ ছাত্রী ও এলাকাবাসি।
এদিকে এলাকাবাসির সাথে আলাপ করলে তারা জানান আবুল হাসান ওয়াড বিএনপির সভাপতি তাই তাকে আঃলীগের কোন দিবস ই পালন করতে দেখি না। তারা আরো জানান আপনিরা বলেন, এত টাকার বরাদ্ধ আসে কই কখনো
দেখি না এই কাজ করতে তাকে।
এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামন এর কাছ থেকে তদন্ত সম্পর্কে রিপোট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক ভোলার প্রতিবেদক কে জানান আমি তদন্ত রিপোটার জমা দিয়েছি রিপোট খারাপ ভাই প্রধান শিক্ষক তিনি কোন কাজ করেন নাই কাজ না করে জালিয়াতি করে বিল উত্তলন করেছেন।
স্কুল ম্যানিজিংক কমিটির সভাপতি জানান আমরা সবাই কে সাথে নিয়ে দূর্নিতিবাজ বিএনপি নেতা প্রধান শিক্ষক আবুল হাসানের নামে মামলা দায়ের করবো।
কাজ না তরে প,ধান শিক্ষকের বিল সম্পর্কে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার শুভ্রত রায়কে ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।