ব্রেকিংঃ

ভোলার চরনোবাদে সংখ্যালঘুর উপর কাউন্সিলর গ্রুপের হামলা জমি দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোটারঃ
ভোলা পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু রনজিত গংদের ওপর হামলা, মারধর এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে ১০ কোটি টাকার জমি জবর দখল করার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।
ভাংচুর ও জমি দখলে সংখ্যালঘু সদস্যদের পক্ষ থেকে শুক্রবার ভোলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করে সংখ্যা লঘু পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে কাউন্সিলর জানান তিনি জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিটানোর চেষ্টা করছেন।
তিনি জানান হামলা মারধর ও জমি জবর দখল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এট অসত্য।

ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা যায়, ভোলা পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের চরনোয়াবাদ নব স্কুল সংলগ্নে বৃহস্পতিবার সাধু চন্দ্র তালুকদারের বাড়িতে বিরোধীয় জমিতে লোকজন নিয়ে বাউন্ডারি দেয়াল তোলার চেষ্টা করেন স্থানীয় কাউন্সিলর শওকত হোসেন ও তার দলবল।

পরে জমির প্রকৃত মালিক মৃত সাধু চন্দ্র তালুকদারের ছেলে রনজিত তালুকদার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের সহযোগিতায় ওই কাজে বাধা দেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কাউন্সিলর শওকত হেসেন ও তার দলবল নিয়ে রনজিতকে লাঠি সোড দ্ধারা মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন রনজিত।
এ ঘটনায় রনজিত কাউন্সিলর শওকত হোসেন, সোহেল তালুকদারসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে ভোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

রনজিত তালুকদার প্রতিবেদকে জানান, তিনি তার পৈত্রিক ১ একর ৯৬ শতাংশ জমির মালিক।
তার বাবা জীবিত থাকাকালীন কবির হোসেন ওরফে তেল কবিরের কাছে মাত্র ২০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন।
তেল কবির এখন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় এক একরের অধিক জমি জবর দখল করে ভোগ করে আসছেন। এদিকে সোহেল তালুকদারের কাছে ১ একর জমির পাওয়ার এটর্নি দেওয়ার পর বাবা জীবিত থাকাকালীন মাত্র ৩৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন।
কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর এখন সোহেল তালুকদার বেআইনি ও জবর দখল ভাবে উক্ত পাওয়ার অব এটর্নি দিয়ে একের পর এক জোর পূর্বক জমি বিক্রি করছেন এবং কাউন্সিলসহ জমি জবর দখল করছেন।
এদিকে সোহেল তালুকদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সাধু চন্দ্র তালুকদারের মোট জমির পরিমাণ ১ একর। সেই জমির পাওয়ার অব এটর্নি দেওয়া হয়েছিল আমাকে।
এই পাওয়ার বলে সাধু তালুকদার জীবিত থাকাকালীন সময় ৩৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেন এবং তাকে পাওয়ার দেওয়ার আগে সাধু চন্দ্র তালুকদার নিজে ৬৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেছিলেন। বিভিন্ন লোকজন ওই জমিতে ঘরবাড়ি তুলে বসবাস করছেন।
সোহেল তালুকদার আরো জানান, কাগজপত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সাধু চন্দ্র মাত্র ১ একর জমির মালিক। যা বেচা বিক্রির পর মাত্র ২ শতাংশ অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু সাধু চন্দ্র তালুকদারের ছেলে রনজিত তালুকদার তা মানতে রাজি না। এ নিয়ে একাধিকবার পৌরসভায়, থানায় এবং স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক হলেও রনজিত তা মানছে না। উল্টো তাকে এবং স্থানীয় কাউন্সিলরকে জড়িয়ে হামলা ও ভাঙচুরের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।

তিনি এ বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভোলা জেলা হিন্দু-বৈদ্য-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

অপরদিকে সাধু চন্দ্র তালুকদারের ছেলে রনজিত তালুকদার জানান, গত ২ জানুয়ারি সকালে তাদের বাথরুম ও রান্নাঘর ভাঙচুর করে বেশ কিছু গাছ কেটে এবং বেড়া উপড়ে ফেলে উক্ত জমি জবর দখল করার চেষ্টা করেন স্থ্নীয় প্রভাবশালি কাউন্সিলর।
এ সময় সংখ্যা লঘু রনজাত গংরা বাধা দিলে তাদেরকে লাঠি সোডা দিয়ে মারধর করা হয়।

ভোলা পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হোসেন জানান, রনজিত তালুকদারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এটার কোন প্রমান নেই।
তাদের বাড়িঘরে হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা আমরা ঘটাই নাই।
আমি একজনের পাওনা টাকা ও ক্রয়কৃত জমির বিরোধ মিটানোর জন্য সেখানে গিয়েছিলাম।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।