ব্রেকিংঃ

ভোলায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে হিন্দু পরিবারের উপর বিএনপি নেতার সন্ত্রাসী হামলা

তানভীর আহমেদ।।দৌলতখান প্রতিনিধি

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলায় সংখ্যালঘু পরিবারের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় প্রভাবশালী বিএনপি নেতা মোজাম্মেল হকের নির্দেশে দফায় দফায় হামলা হচ্ছে পরিবারটির। হুমকি দেওয়া হচ্ছে দেশ ছাড়ার না হলে মেরে ফেলার। ঘটনাটি ঘটেছে দৌলতখান উপজেলার পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রিয় মন্দির সংলগ্ন। বীর মুক্তিযোদ্ধা দৌলতখান আবু আবদুল্লা কলেজের পিয়ন মরন বাবুর ছেলে শুভাস( ৪০) এর সাথে বিয়ে হয় হিমাংশু( ৭০) পিতা শুনিল চন্দ্র দে এর প্রতিবন্ধি মেয়ের সাথে। হিমাংশু মেয়ে প্রতিবন্ধি হওয়ার কারনে জামাই সুবাসকে তাদের সাথেই রেখে দেয়। বসত ঘড়ের সামনে চা, পানের ছোট্ট একটি টেক্সার করে চলছে পরিবারটি। সরকারে গৃহহীনদের বিনামুল্য ঘর এর আওতায় মাননীয় এমপি মহোদয়ের নির্দেশে শিল্পি রানি নামের প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে একটি ঘড় দেওয়া হয়। জায়গা নেই যে যায়গাটিতে বর্তমানে হিমাংশু বাবু ও তার পরিবার বসবাস করছে ঐ যায়গাটি সমবার ব্যাংকের। পড়ে আইনি প্রকৃয়ায় সমবায় ব্যাংক থেকে জায়গাটি ভারা নেওয়া হয়, তাতেই বিএনপির সহ সভাপতি মোজাম্মেল হকের শত্রু হয়ে দাড়ায় হিমাংশু বাবু কারন হিমাংশু বাবুর ঘরের সাথেই মোজাম্মেল মিয়ার ভারায় চলিত ৫টি ঘর। এই মোজাম্মেল মিয়ার ইতিহাস অনেকটা সিনেমার ভিলেনের মত সাবেক বিএনপি জোট সরকারের আমলে তৎকালীন এমপি হাফিজ ইব্রাহিমের ছত্রছায়ায় জোর করে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চালিয়ে একাধিক হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদ করে এই জায়গা, দোকান দখলে নেয় মুজ্জামেল হক। পরবর্তীতে ঐ পরিবার গুলো এক সময় দৌলতখান ছেড়ে চলে যায় । সাবেক বিএনপি জোট সরকারের ৫ বছরে হিন্দু পরিবার গুলোর উপর নিয়মিত চলতো এই মোজাম্মেল গংদের অত্যাচার। বহু পরিবার ভিটে হারিয়ে অত্যাচারে টিকতে না পারে চলে গেছে অন্যএ। বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হওয়ার সুবাদে বিগতদিনে কেউ তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলার সাহস পায়নি। এখনও অব্যাহত আছে তার সেই দখল প্রক্রিয়া। তারই ধারাবাকতায় দৌলতখান পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড মন্দিরের পাশ্বের এই জমিটি ও দখল করেন। জোট সরকারের আমল থেকেই দখলকৃত ৫ নং ওয়ার্ডের এই জমিটিতে ৫ টি বসত ঘড় তুলে তা ভাড়া দিচ্ছেন মোজাম্মেল হক। মুলত চারিদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস মাঝ খানে তার দখল করা জায়গা। যা দেখলে কারো বুঝতে অশুবিধে হবেনা কি করে যায়গার মালিক হয়েছেন এই মুজাম্মেল হক। কোনভাবে হিমাংশু বাবুকে উচ্ছেদ করতে না পেড়ে গত( ২৬ এপ্রিল) জোড় করে প্রতিবন্ধী পরিবারটির গাছ কাটতে যায় মুজাম্মেল হক ও তার লোকজন। তাতে বাধা হয়ে দাড়ায় হিমাংশু ও তার জামাতা সুবাস। তার ঘন্টা খানেক পড়ই হিন্দু পরিবারটির উপর শুরু হয় মোজাম্মেল হক ও তার ক্যাডার বাহিনীর তান্ডব তার ছেলে শুভ(২৮) জামাল মেম্বারের ছেলে শান্ত এর নেতৃত্বে ৮/৯ জন হিমাংশুকে গলির ভিতর ডেকে নিয়ে অকত্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ও তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় হিমাংশু বাবুর চিৎকার চেচামেচি শুনে সুবাস ঘটনাস্থলে আসলে শুভ,শান্ত ও তাদের ক্যাডার বাহিনী মিলে সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের উপর নির্যাতন করতে থাকে। স্থানিয় লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় এবং তাদের বসত ঘরে গিয়ে সুবাসের শাশুরি কানন বালাকে মার ধরের চেষ্টা করে। পড়ে লোকজন ঝরো হতে থাকলে সেখান থেকেও চলে যায় হামলা কারিরা। তবে যাওয়ার আগে জানিয়ে যায় প্রানে বাচতে চাইলে তাদেরকে দৌলতখান ছাড়তে হবে। দুই দিন ধরে বিচারের দাবিতে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত ঐ সংখ্যালগু পরিবারটি। এই মোহামারির সময় একপ্রকার জীবন বাচাতে ঘরের কোনে মুখ লুকিয়ে বেচে আছে তারা। আর সমাজের মুখে কুলুপ এটেছে। এদের জন্ম ই হয়েছে অত্যাচার সহ্য করতে পরিবারটির চোখে মুখে এক অজানা আতংক বাসা বেঁধেছে থানায় অভিযোগ করার সাহস ওরা হারিয়ে ফেলেছে দুই দিন ধরে বিচার এর জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে নির্যাতিত পরিবারটি। তবে মুজাম্মেল দের বিচার হয়ত হবে আবার হয়তো হবেনা।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।