ব্রেকিংঃ

ভোলার ইলিশায় নিজের জমিতে বসতির জায়গা দিয়ে রক্তাক্তের শিকার কুলসুম বিবি

নুরউদ্দিন আল মাসুদ

আজ ভোলা জেলার সদর উপজেলার ২ নং ইলিশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে এই ধরনের ঘটনা ঘটে।দুপুর ২ টার দিকে মোসাঃ কুলসুম বিবিকে রক্তাক্ত ও যখম করে মোসলেউদ্দীন সহ তার গংরা এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা বলেন আহত কুলসুম বিবি আব্দুল মালেক পাটোয়ারীর স্ত্রী।মালেক পাটোয়ারী একজন অভিজাত বংশের এবং উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি।তার ৫০ একরের চেয়ে ও বেশী জমি আছে।সে ২০ বছর পূর্বে নদী ভাঙ্গা মোসলেউদ্দীনকে তার নিজ জায়গায় বসতী স্থাপনের জন্য জায়গা দেয়।পরে তারা একের পর এক জোরপূর্বক সেখানে ৩ টি ঘর স্থাপন করে।কিন্তু আজ মোসলেউদ্দিনের খোলা টয়লেটকে কেন্দ্র করে মারামারি ও রক্তাক্তের সূত্রপাত ঘটে।

স্থানীয়রা আরো জানান – মোসলেউদ্দিনের বাসায় ছুরি,অস্র,ও রামদা আছে। সে প্রায় এগুলো নিয়ে বের হয় এবং মানুষকে ভয় দেখায়।

আহত কুলসুম বিবি জানান-করোনা মোকাবেলায় সবাই আতংকিত।আমরা ও খুবই আতংকে আছি।মোসলেউদ্দিনের খোলা টয়লেটের দূর্গন্ধে আমাদের খুব কষ্ট হয়। তার খোলা টয়লেট ঠিক করার জন্য বারংবার বললেও সে ঠিক করে নি।গতকাল আমার এক আত্নীয় চয়লেট সরিয়ে ফেলার জন্য বললে মোসলেউদ্দিন ও তার গংরা দা,বগী ও রামদা দিয়ে মোঃবারেক(৮০),মোঃ আল আমীন(২৮), মোসাঃ সালমা (২৪) কে বেগতিক মারধর, রক্তাক্ত ও যখম করে যারা এখনো সদর হাসপাতালে ভর্তি।
তারই রেশ পোরাতে না পোরাতেই আজ আমার বাড়িতে এসে আমাকে রক্তাক্ত ও যখম করে।

আহত কুলসুম বিবি এখন ভোলা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তীরত আছেন। তবে গতকাল মোঃ আলআমীন বাদী হয়ে সদর থানায় মোসলেউদ্দীনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ২ নং ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে একাধিক ফোন দিয়ে ও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ইনচার্জ মোঃ এনায়েত হোসেন জানায় আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যামে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।