ব্রেকিংঃ

পূর্বের পরিকল্পিত ষরযন্ত্রের স্বীকারে মাদক মামলার আসামি স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মাকসুদ।।

স্টাফ রিপোটার।।
ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ এর নির্বাহি কমিটির সদস্য মাকসুদ মাদক ব্যবসা না করে মাদক মামলার আসামি।

পূর্বের পরিকল্পিত রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকারে মাদক ব্যবসা না করে মাদক মামলারর আসামি হয়ে জেলে খেটেছেন মাকসুদ।

ভোলা জেলা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মাকসুদ বলেন, আমি আঃলীগ পরিবারের সন্তান আমি জন্মগতভাবে আঃলীগ করি।

রাজনীতি করে বার বার বিরোদি দলের সময় মামলা খেয়েছি।
এখন দল ক্ষমতায় থেকে পূর্বের শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত নকশায় আমার রাজনৈতিক শত্রু জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম চৌধরি পাপনের ষরযন্ত্রের বেড়া জালে আমি কুলিয়ে উঠতে পারি নাই।

গত ০৩/০৫/২০ ইং তারিখ রাত ১০ টার সময় আমি ব্যাংকের হাটে পাওয়ানা টাকা আনতে গিয়ে ব্যাংকের হাট থেকে বাসায় আসার পথে ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশ দিয়ে আশার সময় ভেদুরিয়া ইউনিয়নে মুখুশ পড়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পাপন ও তার বন্ধু ফয়েজ, রিফাত সহ আরো ৫-৬ আমাকে ধাওয়া করে।
এক পর্যায় আমাকে ধাওয়া করলে আমি ভয় পেয়ে আমার স্ক্রুটারটি থামিয়ে ফেলি।

এবং আমার সাথে তাদের দস্তা দস্তি হয়।
এবং আমাকে কিল ঘুষি দিতে থাকে।
একপর্যায় আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবে বলে হিমকি দেয়।

কয়েক মিনিটের মাথায় পাপনের সাথে থাকা একজন পুলিশকে ফোন দেয় প্রায় আনুমানিক ১০ মিনিটের মাথায় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং পুলিশ এসে আমাকে বলে আপনাকে ব্যাংকের হাটে সিগনাল দিয়েছি আপনি দাড়ালেন না কেন।

তখন আমি বলি আপনিরা লুঙ্গি পড়া ছিলেন তাই চিনতে না পেড়ে দাড়াই নাই।

অন্যদিকে আমার পূর্বের শত্রু তিন থেকে চারটি মোটর সাইকেল নিয়ে ধাওয়া করতে থাকে তাই আমি ভয়তে দাড়াতে সাহস পাইনি। আমি ভেবেছি আপনিরাও পাপনের লোকজন।

আমি মনে করেছি পাপনেরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য ধাওয়া করতেছে।

কিছুক্ষন পর দেখি সিভিল পোশাকে লুঙ্গি পড়ে আমাকে বলে তুই মাদক ব্যবসা করোছ বলে রাস্তার পাশে থাকা পুকুরের লেকের ভিতর থেকে একটি ব্যাগ উঠিয়ে আমাকে বলে এগুলোর তোর তুই হাতে নে।
আমি হাতে না নিলে ও পাপন আমার ছবি তোলে এবং এফবিতে ছবিটি ছেড়ে আমাকে মাদক ব্যবসায়ী দিয়ে লেখা লেখি করে এবং পুলিশকে ধরিয়ে দেয়।

আমাকে পাপন সহ ছাত্রলীগ ছেলেরা ধাওয়া করে গতি রোধ করে আমার মোটর সাইকেল আটকিয়ে দেয় একপর্যায় আমার সাথে পাপনের দস্তাদস্তি হয়।
দস্তা দস্তির একপর্যায় ১০ মিনিট পরে পুলিশ এসে পাপন একটি ব্যাগ আমার হাতে তুলে দিয়ে বলেন,স্যার এইটা ওর ব্যাগ এই বলে আমাকে পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে দেয়।
আমার আত্ন চিৎকারে সেখানের স্থানীয় লোকজন এসে দেখে আমাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাচ্ছে তারা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে লাটি সার্জ করে পুলিশ।

স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মাকসুদ বলেন, আমি যদি মাদক ব্যবসায়ী হই তাহলে এত রাতে আমার পূর্বের রাজনৈতিক শ্রুত্রু সেখানে আসলো কিভাবে এবং আমার ছবিটি সে তার ফেইজবুক আইডিটি দিয়ে পোস্ট করে আমি মাদক ব্যবসায়ী বলে।

ঘটনা স্থল চরসামাইয়া ৮ নং ওয়াড মিঝি বাড়ির দরজায় কালু মাঝির ছেলে সোহাগ বলেন, সেই দিনের ঘটনা আমাদের বাসার সামনে আমি ডাক চিৎকার শুনে রাস্তায় এসে দেখি মুখুশ পড়া পাপন এবং ছাত্রলীগের ফয়েজ, রিফাত পড়া আরো ৫-৬ জন সহ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মাকসুদ ভাইর এর হাতে একটি ব্যাগ দেওয়ার চেস্টা করে কিছুক্ষন পরে দেখি পুলিশ এসে তাকে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে দায়।

ওয়াব আলি হাওলাদার বাড়ির আঃ করিম হাঃদের ছেলে বিপ্লব, আবু তাহেরের ছেলে জসিম,নুরুল ইসলাম ব্যাপারির ছেলে কবির বলেন, সেই দিনের ঘটনাটা পূর্বের পরিকল্পিত তা না হলে পাপন সহ ছাত্রলীগের ফয়েজ, রিফাত, সহ মুখোশ ৫-৬ জন এতো রাতে আমাদের বাড়ির দরজায় এসে তার সাথে দস্তা দস্তি করে ব্যাগ দেওয়ার চেস্টা করতেন না।
এটা আমাদের চোখের সামনে দেখা দৃশ্য সেই দিনের ঘটনা সম্পূর্ন ফাসানো।
এদিকে ইব্রাহিম চৌধরি পাপনের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরমান জানান, আমার ফোর্স ব্যাংকের হাটে ছিল মাকসুদ সিগনাল অতিক্রম করায় তাকে আমরা সন্দেহ করেছি তাই তার পিছু নিয়েছি তখন আমাদের সাথে ছাত্রলীগের কিছু পোরাপাইন তাদের পিছু নিয়েছিল।
আমরা মাদক পেয়েছি তাই তার নামে মামলা দিয়ে তাকে চালান দিয়েছি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।