ব্রেকিংঃ

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাকে কেন্দ্র করে খেয়াঘাট দখলে নিতে নৌকার মাঝিকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানালেন প্রতিপক্ষ।।

খেয়া পারাপারের ঘাটটি দখলে নিতে মাদক কারবারি বানালেন খেয়া নৌকার মাঝিকে

ওমর ফারুক স্টাফ রিপোটার।।

ভোলার দৌলতখান উপজেলার ১নং মদনপুর ইউনিয়নটি মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি ইউনিয়ন। মেঘনা নদীর মধ্যস্থলে হওয়ায় ওই ইউনিয়নের বসবাসকারী বাসিন্দা ও সাধারন মানুষের যোগাযোগ ও যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ট্রলার অথবা খেয়া নৌকা।
প্রায় ৩০ বছর ধরে সাধারন মানুষের নদী পারাপারের সুবিধার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইজারার মাধ্যমে ভোলা সদর উপজেলার নাছির মাঝি ঘাট থেকে মদনপুর পর্যন্ত ইঞ্জিন চালিত খেয়া নৌকার ব্যবস্থা করা হয়।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে মদনপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে বশির মাঝি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যায়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ বশির মাঝিকে নানা ভাবে হয়রানি করা সহ খেয়া পারাপারের ঘাটটি দখল করার পায়তারা করে। ওই গ্রুপটি ঘাট ইজারা নিতে ব্যর্থ হয়ে নানা ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালায়। অবশেষে বশির মাঝিকে একজন মাদক সেবনকারী ও ইয়াবা কারবারি হিসাবে চিহ্নিত করতে পত্রিকায় একটি অসত্য ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে। যার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।
সংবাদটি তার দৃষ্টিগোচর হলে বশির মাঝি মিডিয়া কর্মীদেরকে সরেজমিনে তদন্ত করার আহ্বান জানায়।
সরেজমিনে গেলে মদনপুর ঘাটের মুদী দোকান ব্যবসায়ী সিরাজ ও মোসলেউদ্দিন জানায়, প্রায় ২০/২২ বছর ধরে মদনপুর ইউনিয়নের জনৈক দুলু মাঝি ও তার পুত্র বশির মাঝি ইজারাদার হয়ে খেয়া নৌকায় যাত্রীদের পারাপার করে আসছে। বশির মাঝির বড় ভাই নাছির ৭নং ওয়ার্ডর চৌকিদার এবং তার স্ত্রী বিলকিস বেগম মদনপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান নির্বাচিত মহিলা মেম্বার। আমরা কোনোদিন শুনিনাই বশির মাদক সেবনকারী এবং মাদক কারবারের সাথে জড়িত। একটি কুচক্রী মহল ইর্শ্বান্নিত হয়ে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
অপরদিকে নাছির মাঝি ঘাটের চা দোকানদার ঝান্টু, সোহাগ, রাশেদ ও ভুট্টু জানায় ঘাটের শুরু থেকেই আমরা এখানে ব্যবসা করি, খেয়ার মাঝি বশির মাদক ব্যবসা করে এমন কথা কোনোদিন শুনি নাই। সে একজন অধূমপায়ী।
ট্রলার যাত্রী হানিফ, সুমন, রাজিয়া ও মালেক বলেন, প্রায় ১৮/২০ বছর ধরে চরে ট্রলারে আসা যাওয়া করি। কোনোদিন হুনিনাই মাজি বশিরায় বিড়ি তামক খায়” আর ইবার কারবার করে। এগুলি বানাইন্না কতা।
এবিষয়ে, ওই মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু (ডাক্তার) বলেন, নোয়াখালী থেকে মদনপুর হয়ে মাদক কারবারিদের একটি নতুন রুট হয়েছে। কিন্ত আমার ইউনিয়নে মাদক সেবনকারী বা ব্যবসায়ীদের কোন জায়গা হবে না। মাদকের ছোবল থেকে যে কোনো ভাবেই হোক মুক্ত রাখবো। প্রশাসনের কঠোর দৃষ্টি কামনা করেছেন। মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। প্রশাসন পদক্ষেপ নিলে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। খেয়া ট্রলারের মাঝি বশির ও তার পিতা দুলু আমার পরিষদ থেকে ঘাট ইজারা নিয়ে দির্ঘদিন ধরে যাত্রী পারাপার করে আসছে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।