ব্রেকিংঃ

ভোলার আলীনগরে মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে জখম।।

এম রহমান রুবেল ॥ ভোলা সদর উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নে মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেওয়ায় মো. বিল্লাল (৩৪) নামের যুবককে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২২ম আগস্ট )সকাল আনিমানিক ১০টার দিকে রাজে গো চৌমনি বাজারের উত্তর পাশে নুর নবীর দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহত মো.বিল্লাল গ্রামের জালাল আহমেদ এর ছেলে। এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী বিল্লাল। মামলা নাম্বার ৫২।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চৌমনি রাজে গো বাজারের বাবুল এর ছেলে মো. শাহিন স্থানীয়ভাবে গড়ে তোলে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। ইতিপূর্বে তাকে ইয়াবাসহ আটক করে আইশৃঙ্খলা বাহিনী। তার নামে হত্যাসহ ভোলা থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। তার এই মাদক ব্যবসায়ে বাঁধা দিলে সমাজের লোকজনকে একাধিকবার হামলা ও মামলার হুমকি দেন। সম্প্রতি শাহিন এলাকায় পুনরায় ফেনসিডিল ও ইয়াবা, গাঁজার ব্যবসা শুরু করলে স্থানীয় একই বাড়ির চাচাতো ভাই মো. বিল্লালসহ এলাকার বাসিন্দারা তাকে মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার সকালে রাস্তায় একা পেয়ে শাহিন ও তার বাবা বাবুলগংরা মাদক বিক্রিতে প্রতিবাদকারী বিল্লালকে চৌমনি রাজে গো বাজারের নুর নবীর দোকানের সামনে একা পেয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম ও বেদম পিটিয়ে আহত করে। এসময় তার চিৎকারে দোকানের আশে পাশে থাকা স্থানীয় ইউসুফ, হাবিব, কামাল, চুন্নু দৌড়ে এসে বিল্লালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। বিল্লাল ভোলা সদর হাসপাতালের ৫নং কেভিনে ভর্তি হয়ে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বশির আহমেদ বলেন, এই শাহিন এলকার বড় মাদক ব্যবসায়ী, তার অত্যাচারে এলাকাবাসি অতিষ্ট। তার নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। শাহিন এলাকার যুব সমাজ কে নস্ট করে দিচ্ছে। প্রশাসনকে জানানোর পর ও তাকে কোন ভাবেই দমানো যচ্ছে না। মাদক ব্যবসায়ী শাহিনের সাথে কারো সাথে কোন শত্রুতা বা তার টাকার কোন প্রয়োজন হলে তার বন্ধু-বান্ধব বা এলাকার ছোট ভাইদের সাথে বসে সিগারেটের ভিতরে গাজা ভরে পুলিশকে ফোন দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে অহরহ।
মাদক ব্যবসায়ী শাহিন নামের ওই যুবক এলাকায় বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত। এ সংক্রান্ত বিষয়ে বাঁধা দিলে বিল্লাল হামলার স্বীকার হন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের থানা পুলিশের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যেতা জানতে ভোলা সদর মডেল থানার মামলার এসআই (তদন্ত কর্মকর্তা) আনোয়ার বলেন, মাদক বিষয়ে বাঁধা দেওয়ায় বিল্লাল নামের যুবককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ সত্যি। আমি অভিযুক্ত শাহিনকে পূর্বে দুই বার গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় ২ জনের নামে মামলা হয়েছে, যার নং-৫২। আসামি ধরতে আমরা কাজ করছি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন ফকির জানান, এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় দুই জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।