ব্রেকিংঃ

বন্ধু বানাবেন যাকে…..

বন্ধু বিপদাপদে এক অপরের সহযোগী। সমাজ জীবনে চলার সাথী। কিন্তু এ বন্ধু, সহচর বা সহযোগী কেমন হওয়া চাই। কেমন বন্ধু হলে সে আপনার দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে আসবে। এ সম্পর্কে রয়েছে কুরআন ও হাদিসের সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! (তোমরা) আল্লাহকে ভয় কর, আর সত্যবাদীদের সঙ্গী হও।’ (সুরা তাওবা : আয়াত ১১৯)

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অনেক আয়াতেই তাকে ভয় করার পাশাপাশি সৎ লোকদের সংস্পর্শে থাকার পরমার্শ দিয়েছেন।

যাতে মানুষ কোনোভাবেই পথভ্রষ্ট না হয়। অন্যায় পথে পরিচালিত না হয়। কারণ এ কথা সত্য যে, সৎসঙ্গ স্বর্গবাস আর অসৎসঙ্গ সর্বনাশ।’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরাকারী বন্ধুর উপমা তুলে ধরে বলেন, ‘সৎসঙ্গ আর অসৎ সঙ্গের উদাহরণ হচ্ছে ‘মেশক’ বহনকারী আর ‘আগুনের পাত্রে’ ফুঁৎকারকারীর মতো।

মেশক’ বহনকারী হয় তোমাকে কিছু দান করবে কিংবা তুমি নিজে কিছু কিনবে। আর যে ব্যক্তি আগুনের পাত্রে ফুঁক দেয় সে হয়তো তোমার কাপড় জ্বালিয়ে দিবে, অথবা ধোঁয়ার গন্ধ ছাড়া তুমি (উপকারি) আর কিছুই পাবে না। (বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ)

যে ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকবে সে সত্যবাদীও হবে। আর যার অন্তরে মিথ্যার লেশমাত্রও থাকবে, তার অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকবে না।

ফলে মুমিন বান্দাকে লক্ষ্য করে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে চলাফেরা কর।’

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করবে (শেষ বিচারের দিন) সে তাদের সঙ্গী হবে, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন; অর্থাৎ নবি, সিদ্দিক (নবির সহচর), শহীদ ও সৎকর্মশীলগণ। আর সঙ্গী হিসেবে তারা উত্তম।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৬৯)

সুতরাং যারা আল্লাহকে ভয় করবে, রাসুলের আনুগত্য করবে তারা নেয়ামত প্রাপ্ত নবি, সিদ্দিক, শহীদ ও সত্যবাদীদের সঙ্গী হিসেবে সঠিক পথ প্রাপ্ত হবেন এবং সফলতা লাভ করবেন।

তাই দুনিয়াতে সঙ্গী বা সহযোগী নির্বাচনে তাকওয়াবান পরহেজগার সৎ বন্ধু নির্বাচন করা জরুরি। যারা সব সময় সত্য সুন্দরের পথে পরস্পরকে পরিচালনা ও উপদেশ প্রদান করবে।

 

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।