ব্রেকিংঃ

শিবপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ৪দিনেও আসামি ধরা ছোয়ার বাইরে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥

বগুড়ার তুফান সরকারের কান্ডের মত ভয়ানক ঘটনা ঘঠেছে ভোলায়। সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে ঘটনা ঘামাচাপা দিতে ধর্ষিতা ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে একটি মহল। ভিকটিমকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অজ্ঞাত ইশারায় কোন বেড না দিয়ে বাইরে গাইনি ওয়ার্ডের সামনে ফরে ফেলে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে সংবাদ কর্মীদের প্রতিবাদের মুখে ১দিন পর গাইনি ওয়ার্ডে ছিট দেয় ভোলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে ঘটনার ৩দিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় ভোলায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গত শুক্রবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলাধীন শিবপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কালিকীর্তি গ্রামের পাটওয়ারী বাড়িতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভিকটিমের পিতা না থাকার কারনে এতিম ভিকটিম ও তার বিধবা মা বাপের বাড়ি কালীকীর্তি গ্রামে বসবাস করতেন। ভিকটিমের মা ভোলা শহরে এক বাসায় কাজ করে। শুক্রবার ভিকটিমের মা প্রতিদিনের মত কাজে যায়। ভিকটিমের নানি তার বোনের অসুস্থতার কারনে বোনের বাড়িতে যায়। এসময়  ভিকটিমের বাসায় কেউ ছিল না। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ভিকটিম পাশের বাড়িতে বান্ধবীদের সাথে খেলছিলো। এসময় পাশের বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে লম্পট মিজানুর রহমান (৩২)  ভিকটিমকে কাজ আছে বলে ডাক দেয়। মিজানের ডাকে ভিকটিম বান্ধবীদের কাছে থেকে ঘরে গেলে লম্পট মিজানুর রহমান জোরপূর্বক ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে অর্তকিতভাবে ভিকটিমের মুখ, হাত, পা বেধে ফেলে। এসময় ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর ভিকটিমের বান্ধবী সাদিয়া খেলতে আসার জন্য ভিকটিমকে ডাকতে যায়। এসময় ভিকটিমের আলাপ না পেয়ে ঘরের দরজা ধাক্কা দেয়। কেউ দরজা না খুললে সাদিয়া জানলা দিয়ে ঘরের ভিতরে তাকালে ভিকটিমকে হাত, পা ও লাল কসটেপ দিয়ে মুখ বাধা অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় সাদিয়া চিৎকার দিলে লম্পট মিজান আরেকটি দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে ভিকটিম কে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন সিটের ব্যবস্থা করেনি। সাংবাদিকদের তোপের মুখে শনিবার সন্ধ্যায় ভিকটিমকে গাইনি ওয়ার্ডের ৯৪নং বেডে রাখা হয়।
এদিকে ধর্ষক মিজানের চাচা কাশেম ডাক্তার ভিকটিম ও তার মাকে কথা চেপে যাওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়ে ভোলা সদর থানায় ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন মামলা দ্বায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।