ব্রেকিংঃ

ভোলায় ছেলের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে মা’র সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার ॥  ভোলায় ছেলের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিজ মাতা। ২২ জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা শহরের একটি অফিস কক্ষে তিনি লিখিত আকারে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি ভোলা সদর উপজেলার চরনোয়াবাদ এলাকার একজন বাসিন্দা। আমার স্বামী থাকা অবস্থায় আমার বড় ছেলে মোঃ ফরিদ (৩৮) বিভিন্ন সময় তার বাবা ও আমাকে লাঞ্ছিত করতো। এক পর্যায়ে তার বাবা অর্থাৎ আমার স্বামী এ কে এম ফারুক মৃত্যুবরণ করার পর ফরিদের অত্যাচার দিনের পর দিন আরো বেড়ে যায় এবং আমার ছোট ছেলে মোঃ ফিরোজ আহমেদ জুয়েলকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। তাতে আমি বাঁধা দিলে বা দিতে গেলে আমাকে ঘর থেকে আমার বড় ছেলে ফরিদ বের করে দেয় এবং আমার রুমের আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে। এসময় আমার মেয়ে শামীমা ইয়াছমিন বাঁধা দেওয়ায় উল্টো আমার বড় ছেলে ফরিদ আহমেদ গত ১৯ জানুয়ারী ভোলা থানায় গিয়ে মেয়ের জামাই, মেয়ে, ছোট ছেলে ফিরোজ আহমেদ জুয়েল ও তার স্ত্রী নুরুন নাহারকে আসামী করে একটি মিত্যা মামলা দায়ের করে। যার নং-৫৭। ওই মামলার কারণে তারা পুলিশের যন্ত্রণায় বাসায় থাকতে পারছেন না।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন মা হয়ে আজ কতটা কষ্টের কারণে নিজ গর্ভে ধারণ করা ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করছি, তা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কেউ জানে না। আমার এই ছেলে ফরিদ আহমেদ আজ আমার পুরো সুখের পরিবারকে ধ্বংসের মুখি নিয়ে গেছে। আমার ফিরোজ আহমেদ জুয়েল ও মেয়ের জামাই হুমায়ুন কবির নোমান এর জন্য ভোলা থেকে ভড়াটিয়া গুন্ডা ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মারধর করার জন্য এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। এছাড়া গায়েবী মামলায় আমার ছোট ছেলে ফিরোজ আহমেদ জুয়েল ও জামাই হুমায়ুন কবির নোমানকে ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। আমি এই বৃদ্ধ বয়সে নিজ গর্ভের ছেলের জন্য আজ আমি মৃত্যুর মুখে।
তিনি বলেন, আমার ছেলে ফরিদ আহমেদের এহেন কর্মকান্ডের কারণে সুখের পরিবার আজ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। আমি তার দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। সাথে সাথে আমার ছোট ছেলে ফিরোজ আহমেদ জুয়েল, জামাই হুমায়ুন কবির নোমান, মেয়ে শামীমা ইয়াছমিন লিপি, ছোট ছেলের বউ নুরুন নাহার এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ভবিষ্যতে আমার স্বামী রেখে যাওয়া সুখের পরিবারটি যেন আমি পুনরায় ফিরে পেতে পারি এ জন্য ভোলার গণমানুষের নেতা, ভোলার অভিভাবক ও ভোলা সদর-১ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক সফল বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ভোলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেল হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মায়ের অভিযোগ এবং সংবাদ সম্মেলনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ছেলে ফরিদ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে ফোন রিসিভ করেননি। পরে যখন আবার ফোন দেয়া হয় তখন সাংবাদিক পরিচয় জনাতে পেরে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে বাপ্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এদের ব্যাপারে জানি। তাদের পরিবারের মধ্যে জমি-জমা, টাকা-পয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। একাধিকবার শালিশ-মিমাংসার জন্য বসলেও কোন ফয়সালায় করতে পারিনি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।