ব্রেকিংঃ

ভোলার ইলিশায় যৌতুকের জন্য স্ত্রী কে কুপিয়ে জখম করলো পাষন্ড স্বামী

 জামিল হোসেনঃ ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা রাস্তার মাথা নামক জায়গায় মিঝি বাড়ীতে যৌতুকের জন্য স্ত্রী কে নির্যাতন করে দুই বছরের শিশু কন্যা হাবিবা কে ও রেখে দিলেন পাষন্ড স্বামী। গত ২৮শে জানুয়ারী গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটায় জুলেখার স্বামী আবদুল গনি, দেবর রুবেলসহ শশুর বাড়ীর লোকজন। আহত জুলেখা খাতুন ইলিশা ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর ইলিশা গ্রামের রুহুল আমিন মিস্ত্রি’র মেয়ে। জুলেখা জানান,আমার বিয়ের বয়স ৪ বছরের মত এর মধ্যে একাদিক বার যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেছে সবশেষ চলতি বছরের ২৮ শে জানুয়ারী রাতে যৌতুক নিতে বলে আমার বাবা বাড়ী থেকে আমি যখন বললাম আমার বাবা একজন গরীব কি ভাবে টাকা দিবে এই কথার পরেই আমার স্বামী, শাশুরী দেবর এসে চুলের মুঠি ধরে মারধর করে এক পর্যায়ে স্বামী দা দিয়ে আঘাত করে আমার পায়ে গুরুত্বর জখম করে এক পর্যায়ে আমার দুই বছরের শিশু কন্যা রেখে আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয় তারা। সেখান থেকে একটি অট্রোরিস্কার ড্রাইভার কে বাবা ডেকে বাবার বাড়ীতে এসে সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে আমার বাসুর শেলিম ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে হাসপাতাল থেকে হুমকি দিয়ে নাম কেটে দেয় বলেও জানান জুলেখা। এদিকে বাবার বাড়ীতে থেকে মেয়ের শোকে ও শশুর বাড়ীর লোকজনের নির্যাতনের যন্ত্রণায় কাটরাচ্ছে জুলেখা হতভাগা বাবা গরীব বলে কি বিচার পাবে এই নির্মম নির্যাতনের এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে? বক্তব্য নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত আবদুল গনি ও শেলিম এর বাড়ীতে গেলে তারা সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কেউ সামনে আসেনি তবে গনির মামা সিরাজ মিয়া জানান কিছু একটা ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। এদিকে স্থানীয়রা জানান শেলিম তার ছোট ভাই কে নির্দেশ দিয়েছেন তার ভাইয়ের স্ত্রী কে হত্যা করার জন্য আর তার নির্দেশ অনুযারীই কাজ করেন গনি। এই বিষয়ে ইলিশা পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ মোক্তার হোসেন জানান,আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।