ব্রেকিংঃ

প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে অকালে অপমৃত্যুর রোশানলে পতিত হলো কলেজ শিক্ষার্থী ছাত্র বিল্লাল

জনতার বানী ডেক্স ॥ ভোলার রাজপুরে খাঁন পরিবারের মেয়ের সাথে প্রেমের কারণে অকালে অপমৃত্যুর রোশানলে পতিত হলো একাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া কলেজ ছাত্র বিল্লাল। নিহত বিল্লালের শোকাহত বাবা মো: আলী পাটোয়ারি বুক ফাটা কান্নাজড়িত কন্ঠে গনমাধ্যমকে জানান, আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ের ভিতরে বিল্লাল দ্বিতীয়। খান পরিবারের প্রেমই কেরে নিল আমার কলিজার টুকরা বিল্লালের প্রাণ। গত ৫ই ফেব্রুয়ারী ভোর ৬টা ৫মিনিটের সময় কান্চন পৌরসভার আওতা ভুক্ত আমেরিকান সিটি প্রজেক্ট এর ভিতরে বালুর পাইপ লাইন স্থাপনের খুটির সাথে লাইলনের রশি দিয়ে ফাঁশ লাগানো নিহত বিল্লালের ঝুলন্ত লাশ উদ্বার করে রুপগঞ্জ থানা পুলিশ। আমি সংবাদ পেয়ে রুপগঞ্জ থানায় হাজির হতেই আমার কলিজার টুকরা বিল্লালের নিথর দেহ দেখতে পাই। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাকে একটি চিরকুট দেখিয়ে বলা হয় এটি আপনার ছেলের পকেটে পাওয়া যায়। নিহত বিল্লালের বাবার প্রশ্ন এটা আমার ছেলের হাতে লিখা নয়। লিখাটি দেখার পরে বিল্লালের বাবার প্রশ্ন ক্রমশই বাড়তে থাকে এবং পুর্বে খাঁন পরিবার কর্তৃক বিল্লালকে প্রদত্ত মৃত্যুর হুমকিও চোখে ভাসে বলে জানান নিহত বিল্লালের বাবা।
পুলিশের সুরত হাল রিপোর্ট দেখে তার সন্দেহ আরো বেরে যায় বলে জানান নিহত বিল্লালের বাবা। রিপোর্টে উল্লেখ আছে আমার বাবার (বিল্লালের) নাক, কান, স্বাভাবিক। চোখ অর্ধ খোলা এবং মুখ দিয়ে সামান্য লালার মতো বের হবার চিহ্ন বিদ্যমান ছিলো। মুখটি ছিলো অর্ধ খোলা, চোখও ছিলো অর্ধ খোলা। আমি কিচুতেই মন মানাতে পারছিনা আমার বাবা (বিল্লাল) আত্মহত্যা করছে। আমার সন্দেহের তীর আমাদের প্রকাশ্য শত্রু ও আমার ছেলেকে মারার জন্য রাম দা নিয়ে তেড়ে আসা পরভেজ ও তার চাচা বাসেদ খাঁ পরিকল্পিত ভাবে মৃত্যুর সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলেও জানান নিহতের বাবা মো: আলী।
এ দিকে বিল্লালের অপমৃত্যু রহস্য নিয়ে চাপা দু:খে আনন্দ বাজার এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হবার মতোই দৃশ্যমান ছিলো। বিল্লালের সহপাঠিদের আবেগাপ্লুত কান্নায় জর্জরিত হবার দৃশ্যই ছিলো হৃদয় বিদারক। বিল্লালের নিথর দেহ যেন কাঁদিয়ে গেল তার প্রেমকে ও তার চলার সাথী সহপাঠিদের। বুধবার সকাল ১০টায় নিহত বিল্লালের নামাযে জানাজা আনন্দবাজার জামে মসজিদ ময়দানে শত সহ¯্র মুসুল্লি ও আত্মিয়দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। অতপর নিহতের নিথর দেহ পারিবিরিক (শান্তির হাট মসজিদ) সংলগ্ন কবরস্থানে দাপন করা হয়।


অপরদিকে সন্দেহ ভাজন (অভিযুক্ত) বাছেদ খাঁন গনমাধ্যমকে জানান, অপমৃত্যুর বিষয়ে আমি কিংবা আমার ভাতিজা কিছুই জানিনা। তারা পুর্বে গঠিত সামান্য রাগচানকে সন্দেহ করে মিথ্যা ও ভিত্তিহিন কথা বলে।
অপমৃত্যুর বিষয়ে নিহতের মা তাছলিমা কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, ঐ ডাকাইত বাছেদ ও তার ভাতিজা আমার ছেলেকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। আপনার ছেলেতো ঢাকায় মারা গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমার ছেলেকে ওরা মেরে ফেলতে চেয়েছিল বাড়ি থাকতেই। কিন্তু জান নিয়ে পালিয়েও বাচতে পারলোনা আমার বাবা বিল্লাল। ওরা (বাছেদ খাঁ) আমার বিল্লালকে প্রথম যে দিন রামদা নিয়ে ধাওয়া করেছিল সে দিনও বেশ ভয় পেয়েছে আমরা ধাওয়া করা ও ঘর কোপানোর বিষয়ে বাছেদ খাঁনের চাচা চেয়ারম্যান মিজান খানকে জানিয়ে কোন বিচার পাইনি বলেও জানান তাসলিমা।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলেকে মেরেফেলার হুমকি ও বসত ঘর কোপানোর বিষয়ে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোক্তার হোসেনকে অবহিত করলে তিনি এসেও উল্টো আমার ছেলে বিল্লাল হোসেনকেই সাশিয়ে যান। তাতে করে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন ঐ প্রভাবশালী বাসেদ গংরা বলেও জানান মৃতের মা তাছলিমা।
মোক্তার হোসেন স্যার যাবার পরে আমার বাবা মোক্তার কি করছে বলেও কটাক্ষ কথা বলেন বাছেদ খাঁ। এ বিষয়ে মুঠো ফোনে মোক্তার হোসেন (ইনচার্জ ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র) জানান, এ বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পাইনি, তবে একমাস পুর্বে বাসেদ খাঁ তার মেয়েকে উত্যক্ত করার বিষয়ে ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেন। তার আলোকে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত বিল্লালের বাবা মাকে পাইনি। তার নানা ব্যাবসায়ী খালেক বেপারিকে বলে আসি।
এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদি ববাসেদ খাঁনের চাচা চেয়ারম্যান মিজান খাঁন সমাধান করবে বলে আমাকে জানান। তাই আমি অভিযোগ স্থগিত রাখি বলে জানান তিনি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।