ব্রেকিংঃ

ভোলায় ছেলের ডাকে কাপছে গ্রাম ভিক্ষা করে দিনযাপন করেছে মা

 স্টাফ রিপোর্টার ।।  জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সাবেক বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা বিআরডিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজান হাওলাদারের ডাকে বড় মানিকা ইউনিয়ন কাপছে বলে জানা গেছে অন্যদিকে তার মা ফুলজান বেগম তিন মেয়ে কে নিয়ে ভিক্ষা করে দিনযাপন করেছেন। তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের মৃত্যু জয়নাল আবেদিন দুই বিবাহ করেন এক ঘরের জন্ম শাজাহান হাওলাদারসহ ৬ ভাই বোন অন্যদিকে তার সৎ মা ফুলজান বেগম এর ঘরে ইয়ানুর, মাইনুর, নাছিমা নামের তিন কন্যা সন্তান রয়েছেন। ফুলজান বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান, আমার স্বামী মারা যাওয়ার আগে সৎ ছেলে প্রভাবশালী শাজাহান হাওলাদার কে বলে গেছেন আমাদের ভাগের জমিটুকু দেওয়ার জন্য তিনি তখন রাজী হলেও স্বামী মারা যাওয়ার পর শাজাহান হাওলাদার তার ভাইদের নিয়ে আমাকে এবং আমার এতিম তিন মেয়ে কে বাড়ী থেকে বের করে দেয় আমি এতো বছর গ্রামের সবার ধারে ধারে ঘুরলেও কোন লাভ হয়নি, শাহাজান হাওলাদের নাম শুনলে কেউ আর এগিয়ে আসে না। তিনি বলে আজকে আপনাদের কাছে একথা বলে এলাকায় থাকতে পারবো কিনা জানিনা। ভিক্ষা করে অন্যের বাড়ীতে থেকে তিন মেয়ে কে বিবাহ দিয়েছি তিন জামাই রিস্কা চালিয়ে সংসার চালায়, শাজাহান হাওলাদারের বোন নাছিমা বলেন,আমার আপন ভাই নেই অল্প বয়সে বাবা কে হারিয়েছে মনে করেছিলাম শাজাহান ভাই পরিবারের প্রধান হিসেবে আমাদের খোজ খবর নিবেন কিন্তু উল্টা তিনি আমাদের বাড়ী থেকে বের করে দিলেন, আমরা এই ভাইয়ের শাস্তি চায় না কেননা আমরা এক বাবারই জন্ম শুধু আমাদের ভাগের জমিটুকু দিলে হয়তো আমরা আর অন্যের বাড়ীতে থাকা লাগতো না এবং আমার মা ভিক্ষা করতে হতনা একথা বলেই নাছিমা ছেড়ে দিয়েছেন দু’চোখের পানি। স্থানীয়রা জানান, শাজাহান হাওলাদার ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে রাত কে দিন বানায় আর দিন কে রাত বানানো তার কাজ, কয়েক দিন পূর্বে তাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে সনদ বাতিলের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্থানীয়রা মুরুব্বীরা। শাজাহান হাওলাদারের মা ফুলজান তার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির ভাগ ও শাহাজান হাওলাদারের হাত থেকে রক্ষার জন্য ভোলা -২ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এই বিষয়ে অভিযুক্ত শাজাহান হাওলাদারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে ও তাকে পাওয়া যায়নি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।