ব্রেকিংঃ

বাপ্তায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করেছে এক যুবক

জামিল হোসেন ।। ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রী কে পিটিয়ে আহত করার খবর পাওয়া গেছে।সূত্রে জানা যায়, বাপ্তা ইউনিয়নের সাচড়া গ্রামের দিনমজুর হানিফ মিয়া’র মেয়ে শহীদ জিয়া আর্দশ স্কুল এন্ড কলেজ এর ৭ম শ্রেণী’র ছাত্রী তানজিয়া কে একই বাড়ীর লোক জুয়েল ও তার ভাবি আখি প্রতিবেশি মনিরের পক্ষে প্রেমের প্রস্তাব দেন, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার তানজিয়া কে বিভিন্ন অযুহাত দিয়ে গালমন্দ করেন আখি ও জুয়েল।

এক পর্যায়ে তানজিয়া তার মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বললে তানজিয়া’র মা বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে আখি ও জুয়েল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তানজিয়া কে ঘর থেকে গত ৭ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় বের করে বাহিরে এনে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন জুয়েল, আখি,নুরুনবী, আবু তাহেরগংরা এবং তাদের ঘর ও ভাংচুর করেন।এসময় তানজিয়া মা সুলতানা বাধা দিতে আসলে তাকে ও পিটিয়ে আহত করে তারা এক পর্যায়ে তানজিয়ার মাথার চুল উঠিয়ে পেলে জুয়েল ও নুরনবী।পরে স্থানীরা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তানজিয়া ও তার মা সুলতানা কে উদ্ধার ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।তানজিয়াদের বাড়ীর মুরুব্বি সাবেক শিক্ষক জানান তানজিয়া কে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে আমি দেখেছি বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক অপরাধীদের শাস্তি হওয়া উচিত।

এদিকে তানজিয়ার মা বাদী হয়ে ঘটনার মুলহোতা আখি বেগম কে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন যাহার নং ৮১৭/১৯এদিকে স্কুল ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করেছেন এলাকায় এবং তীব্র নিন্দা ও অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত নুরুনবী, জুয়েল, আখি বেগম জানান,সামান্য কিছু ঘটনা ঘটেছে এটা নিয়ে বারাবারি কি আছে? অন্যদিকে নিউজ না করানোর জন্য ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ এর চেষ্টা করেন তারা।বাপ্তা ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সরোয়ার মেম্বার জানান ঘটনাটি দুঃখজনক স্কুল ছাত্রী কে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত যে ই হোক তার শাস্তি দাবী করছি।

এই বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি ছগির মিঞা জানান, তানজিয়ার মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।