ব্রেকিংঃ

ভোলার ভেদুরিয়ায় জুয়ার বাজিতে প্রান গেল হত দরিদ্র শামসুদ্দিনের

 এম রহমান রুবেল

ভোলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চর কালী গ্রামে জুয়ার টাকা না দিতে পারায় প্রাণ দিতে হলে    ৪ সন্তানের জনক হতদরিদ্র শামসুদ্দিন কে (৪৫)। নিহত  শামসুদ্দিন ভেদুরিয়া ২ নং ওয়ার্ডের মৃত বেলায়েত ড্রাইভারের ছেলে ।

শুক্রবার বিকেল চারটায় শামসুদ্দীনের বাড়ির সামনে খেলায় হার জিত এর বাজির টাকা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শামসুদ্দিন এর পরিবার  জানান ,শুক্রবার বিকাল চারটায় শামসুদ্দিন এর সাথে স্থানীয় বিএনপি নেতা সাবেক মেম্বার মাইনুদ্দিন সাজি ওরফে সুদি সাজির ছেলে আরিফ এর সাথে জুয়ার টাকা নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে শামসুদ্দিন জুয়ার টাকা না দিতে পারায় তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও ঘাড় মটকে দেয় আরিফ ।

প্রাণ বাচাঁতে শামসুদ্দিন পালিয়ে নিজ বাড়ির উঠানে  পড়ে যান। এসময় সামসুদ্দিনের  মা এগিয়ে আসলে  পানি খেতে চান ও বাচবে না বলে মাফ চান ।

নিহত শামসুদ্দিনের মা জানান,আমাকে তোমরা ক্ষমা করে দিও বলতে বলেতে কিছুক্ষণ পরেই তার মারা জান সামসুদ্দিন ।

কান্নাজড়িত কন্ঠে শামসুদ্দিনের মা আরো বলেন আরিফের সাথে ঝগড়ার ১০ মিনিট পরই আমার বাবা শামসুদ্দিন  আমাকে ছেড়ে না ফিরার দেশে চলে যান।

অন্য দিকে শামসুদ্দিনের স্ত্রী ইয়ানুর বেগম জানান,স্বামী  সামসুদ্দিনের সাথে মাইনউদ্দিন সাজীদের সাথে আগে সুদের টাকার লেনদেন  ছিল । সেই লেনদেনের টাকা গরু বিক্রি করে দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু গতকাল আরিফের সাথে তাস খেলার টাকা নিয়ে ঝগড়া হয় বলে শুনেছি । এসময় আরিফ তাকে কিল ঘুষি দেয় আর সেখান থেকে দৌড়ে বাড়ীতে এসে তিনি বেহুশ হয়ে পড়ে যান এবং কিছুখন পর মারা যান। আরিফই আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে জানান তিনি ।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিকেরা গেলে তাদেরকে মৃত শামসুদ্দিনের স্বজনদের সাথে কথা না বলতে তাদেরকে বার বার নিষেধ করেন স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েক জন। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা বের হয়ে যান।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবারে শামসুদ্দিন মারা গেলে ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা আরেক প্রভাবশালী সাবেক ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা মাইনউদ্দিন সাজীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিষয়টি দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে । রাতে ভেলুমিয়া ফাঁড়ির পুলিশের একটি টিম ও ভোলার কয়েকজন কথিত সাংবাদিক এসে শামসুদ্দিনকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে চালিয়ে দিয়ে চলে গেছেন কতিত সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যরা।

স্থানীয়রা আরো জানান, মাইনুদ্দিন সাজীর টাকার কাছেই হার মানলো স্থানীয় মাতাব্বরা। ভোলার বহুল পরিচিত দৈনিক ভোলার বানী পত্রিকার প্রতিবেদকেরা দুপুর ১২ টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে শামসিদ্দিন এর মৃত্যু সম্পর্কে ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরমান হোসেন এর কাছে মুত্যু রহস্য সম্পর্কে জানতে চেয়ে মুঠো ফোনে ৮ বার তার অফিস ফোনে কল  দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। পরে পূনরায় তাকে ফোন দিলে তিনি বলেন শামসুদ্দিন হার্ট এর্টাকে মারা গেছে।

আমি তখন প্রশ্ন করলাম ময়নাতদন্ত শেষ না করতে আপনি কি ভাবে বুঝলেন যে শামসুদ্দিন হৃদ রোগে ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। এমন প্রশ্নের উত্তের ভেলুমিয়া ফাড়ির ইনসার্জ কোন উত্তর দিতে পারেনী।

একই সময় ভোলা সদর থানার ওসি ছগির মিঞা কে ফোন দিলে তিনি বলেন একটি অভিযোগ করার ব্যবস্থা করে দিন তার পরে বিষয়টি দেখছি। স্থানীয় মেম্বার আবু পাটোয়ারী জানান আমি খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং শুনেছি আরিফ ঘুষিতে শামসুদ্দিন মারা গেছে। পরে শনিবারা সন্ধায় নিউজে বসে ভোলা সদর থানার ওসি ছগির মিঞা কে ফোন দিলে তিনি বলেন লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয়েছে বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এদিকে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা হতাশার শুরে বলেন আবারো টাকার জোরে এমন একটি ঘটনা কি মাইনউদ্দিন সাজী( সুদি সাজী) দামাচাপা দিয়ে দেয় কিনা? এই জন্য ভোলার গণমানুষের নেতা সাবেক সফল মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয় ও প্রশাসনের উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।