ব্রেকিংঃ

ভোলার ভেদুরিয়া প্রকাশ্যে হত্যা ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মামলা নিবেন ওসি ।। মামলা দিতে বাদী ঘুরছেন থানায়

এম রহমান রুবেলঃ  ভোলালা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে নিহত সামছুদ্দিন হত্যার ৫দিন অতিবাহিত হলেও এখন ও মামলা নেয়নি ভোলা সদর থানার পুলিশ, এমন অভিযোগ করেন নিহত সামছুদ্দিন এর পরিবার।

সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে এমন অভিযোগ করেন নিহত সামছুদ্দিন এর পরিবার। শামসুদ্দিনের মেয়ে তাসলিমা বেগম, ছেলে নাহিদ জানান, আমার বাবা কে আরিফ হত্যার করেছে আমরা এর বিচার চায়। এই সময় নিহত সামছুদ্দিন এর সন্তানের কান্নায় উপস্থিত স্থানীয়রাসহ এই প্রতিবেদকরা ও কেঁদেছে। অন্যদিকে নিহত সামছুদ্দিন এর স্ত্রী ইয়ানুর বেগম, মা হাজেরা ও চাচাতো ভাই নুরুলইসলাম জানান ৫ দিন সামছুদ্দিন হত্যা অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত পুলিশ আমাদের মামলা নিচ্ছে না, গড়িমসি করেছে এবং অন্যদিকে আরিফের বাবা সুদি মাইনউদ্দিন সাজী আমাদের কে হুমকি দিচ্ছে মামলা কি ভাবে দেয় তারা দেখবে? আমাদের পরিবার এখন আতঙ্কের মধ্যে আছি। সামছুদ্দিন এর স্ত্রী জানান, আমার স্বামী মারা গেছে আমি মামলা করবো কিন্তু পুলিশ মামলা নিচ্ছে না কেনো? জানিনা, মাইনউদ্দিন সাজীর টাকার জোরে আমাদের মামলা নিচ্ছে না পুলিশ এবং টাকা দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তাদের পক্ষে নিয়ে আসবে বলে ও মাইনউদ্দিন সাজী হুমকি দিচ্ছে। নিহত চাচাতো ভাই নুরুলইসলাম আরো জানান, মামলার সব লেখা হয়েছে কিন্তু ওসি স্যার সাক্ষর করেনি  ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায়। সাবেক এই প্রভাবশালী বিএনপির নেতা এবং ভেদুরিয়ার আতঙ্কের নাম মাইনউদ্দিন সাজীর ক্ষমতার জোর কোথায়? যে এমন একটি হত্যার ঘটনার পরেও এলাকায় দাপটের সাথে চলাফেরা করছেন এবং নিহতের পরিবার কে দেখিয়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন, কোথায় তার ক্ষমতার উৎসব? এমন প্রশ্ন এখন ভেদুরিয়াসহ ভোলার সবার মুখে মুখে। তাহলে কি সামছুদ্দিন হত্যার বিচার পাবে না তার পরিবার? নাকি সুদি মাইনউদ্দিন এর টাকার কাছে সব হার মানলো? তবে এই বিষয়ে ভেদুরিয়া ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, আমি গোপন তদন্ত করে জানতে পারলাম যে মারামারিতে সামছুদ্দিন মারা গেছে।

এই বিষয়ে ভোলা সদর থানার ওসি ছগির মিঞার  কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট  আসলে সব কিছু বলা যাবে।

 

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।