ব্রেকিংঃ

জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ফেরী ঘাট; চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন

মেঘনা নদীর অতি জোয়ারের পানিতে ফেরিঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ফেরী চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন হচ্ছে। একটি মাত্র লোওয়াটার লেভেল নিচু ফেরিঘাট হওয়াতে গত কয়েকদিন ধরে ভোলার ইলিশা ফেরীঘাটের র‌্যাম ও এপ্রোস সড়ক জোয়ার এলেই সকাল ও বিকাল ২ বেলা পানিতে ডুবে যায়।

এতে করে প্রতিদিন ৫/৬ ঘন্টার অধিক ফেরী চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। বর্তমানে জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করেই ফেরী চলাচল করছে। এতে ইলিশা ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ জানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, হাই ওয়াটার লেভেল ঘাট নির্মান করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ-র কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘ দিন ধরে দাবী জানালেও তারা ইলিশা ফেরিঘাটে হাই ওয়াটার ফেরিঘাট নির্মান করছে না। তবে বিআইডব্লিউটি এ বলছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে কিয়ারেন্স না পাওয়ায় নতুন ফেরিঘাট নির্মানে বিলম্ব হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে ভোলা হয়ে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সাথে সহজ যোগাযোগের মাধ্যম ভোলা-লক্ষীপুর ফেরী সার্ভিস। এ রুটে প্রতিদিন তিনটি ফেরীতে শত শত যানবাহন পারাপার করে।

অথচ ফেরিতে যানবাহন উঠা নামার জন্য একটি মাত্র লো ওয়াটার ঘাট নির্মান করা হয়েছে। এ অবস্থায় আমবশ্য জোর প্রভাবে অতি জোয়ারের কারনে দেশের গুরুত্বপূর্ন এ রুটে এখন ফেরী চলাচলে মারাত্মকভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। গত কয়েকদিন সকাল ও বিকাল ২ বেলা জোয়ার এলেই পল্টুন, এপ্রোস সড়ক ও র‌্যাম তলিয়ে যায়। জলাবদ্ধতার কারনে ফেরীতে উঠা-নামা করতে পারেনা কোন যানবাহন।

যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা করে নৌকা ভাড়া দিয়ে ফেরি থেকে তীরে নামছে। এতে করে তাদের যেমন চরম ভোগান্তি হচ্ছে তেমনি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এছাড়াও পরিবহন শ্রমিকরাও রয়েছে চরম বিপাকে। ফেরি চলাচল প্রতিদিন ৫/৬ ঘন্টা বন্ধ থাকায় ৩/৪ দিন ধরে ইলিশা ঘাটেই বহু পন্যবাহি পরিবহনকে ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

এদিকে ভোলা-লক্ষীপুর রুটে একটি হাই ওয়াটার ও একটি লো ওয়াটার ঘাট নির্মানের জন্য পরিবহন শ্রমিকরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবী জানিয়ে আসছে। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে বহু টাকা ব্যয় করে এই একটি মাত্র ঘাট নির্মান করা হয়।

যা দিয়ে শুস্ক মৌসুমে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বর্ষা মৌসুমে বা নিন্ম চাপ হলেই একটি মাত্র ফেরিঘাট তলিয়ে যায়। এতে করে ভোগান্তির শেষ নেই।

ভোলা ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক মো: এমরান হোসেন জানান, ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ফেরি পরিচালনার জন্য একটি হাই ওয়াটার ও একটি লো ওয়াটার ঘাট প্রয়োজন।

কিন্তু ইলিশাঘাটে একটি মাত্র লো ওয়াটারঘাট রয়েছে। জোয়ারের পানিতে ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ৫/৬ ঘন্টা ফেরির লেড-আনলোড বন্ধ থাকে এতে করে তাদের প্রতিদিন ৮টি ট্রিপ কম হচ্ছে। এতে করে জনদুর্ভোগ হচ্ছে। বিকল্প ঘাটের ব্যাপারে বিআইডবিউটিএকে বলা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভোলা বিআইডব্লিউটিএ’র নদী বন্দর কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কিয়ারেন্স দিচ্ছে না। পাউবো যখন তীর সংরক্ষণ কাজ করে তখন তাদের প্লানে হাই ওয়াটারঘাট না থাকায় সমস্যা দেখা দেয়। তারপরও ইলিশায় ফেরির জন্য বিকল্প দ্বিতীয় হাই ওয়াটার ঘাট নির্মাণের জন্য প্রচেস্টা চলছে।

ইতিমধ্যে ওই ঘাট নির্মানের জন্য বাজেট হয়েছে। আসন্ন ঈদের আগে তারা আশা করছে ইলিশায় হাই ওয়াটার ফেরিঘাট নিমার্ন করা হবে।

অপরদিকে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা হাই ওয়াটারঘাট নির্মানের জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করতে যায়নি। পাউবোর সাথে স্বমনয় করে ঘাট নির্মান করলে তাদের কোন আপত্তি নেই।


দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।