ব্রেকিংঃ

পদ্মা সেতুর জন্য মাথা লাগবে এটা সম্পূর্ন গুজব সংবাদ সম্মেলনে ভোলার এসপি কায়সার

এম রহমান রুবেলঃ
পদ্মা সেতুর জন্য এক লাক্ষ মানু্ষের মাথা লাগবে এটা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট একটি গুজব গল্প মাত্র।
এ গুজব গল্প সৃষ্টিকারী একটি মহল গত এক সপ্তাহ ধরে সারা দেশে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।
আসলে এই ধরনের নেককার ঘঠনার কোন বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই।

বৃহস্পতিবার ১২. ৩০ মিনিটের সময় পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ের এর সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেণ ভোলা জেলায় নব নিয়যুক্ত পুলিশ সুপার সরকার কায়সার।

এসময় এসপি কায়সার বলেন, পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগার এটা সম্পূর্ন মিথ্যা ও গুজব তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আপনিরা কোন গুজব কথায় কোন কান দিবেন না। এই গুজবে কান দেওয়ার কারনে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এখন ভোলার প্রত্যান্ত অঞ্চলনের শিক্ষার্থীর, অভিভাবকগনও আছেন উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠায়।
এসব গুজব রটনা কারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে ভোলার পুলিশ।
ইতিমধ্যেই এসব গুজব মানুষের মধ্যে ছড়ানোর অভিযোগে আমরা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরমাদ্রাজ রাস্তার উপর থেকে গতকাল বুধবার ১০/০৭/১৯ইং তারিখ পৌঁনে বারটার সময় আবদুল শহিদ হাওলাদার(২৪) নামের একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি পুলিশ।

নব নিয় নিয়যুক্ত পুলিশ সুপার সরকার কায়সার তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত শহিদ পালিয়ে যেতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের সময় তার সাথে থাকা একটি ব্যাগ ও গুজব ছড়ানো সেই মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আগে থেকে ডিলিট করার কারনে উদ্ধার করার পর তার মোবাইলে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার আনইন্সটল দেখতে পায় পুলিশ। এর পর নতুন করে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ইন্সটল করে সেটআপ দিলে তার গুজব ছড়ানো পিছনের সকল তথ্য সামনে চলে আসে। এসময় সে তার এসব অপরাধে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে এবং তার সাথে জড়িত অন্যান্য সহযোগীদের নাম উল্লেখ করে।

অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর দায়ে আবদুল শহিদ হাওলাদার কে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় ডিসি নিরাপত্তা আইন -২০১৮ এর ২৫,২৮,৩১ ও ৩৫ ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ ঘটনার পিছনে কোন বৃহৎ মহল জড়িত আছে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সরকার কায়সার বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে আমরা চারজন কে সনাক্ত করতে পেরেছি যার মধ্যে একজন গ্রেফতার হওয়া শহিদ হাওলাদার, একজন দেশের বাহিরে দুবাইতে অবস্থান করছেন, একজন আছেন চট্টগ্রাম অপরজন গা ঢাকা দিয়ে আছে। গ্রেফতার হওয়া শহিদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়তো এর সাথে জড়িতো আরো অনেকের নাম সামনে চলে আসতে পারে। তবে এর পিছনে বৃহৎ একটি মহল থাকতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।

এসব গুজব ছড়ানোর উদ্দেশ্য কি? এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, সারাদেশে সরকারের যে উন্নয়ন মূলক কাজ হচ্ছে সে কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে এটা একটা পরিকল্পনার অংশ হতে পারে। এটা বিশাল বড় মাপের একটা ক্রাইম যার জন্য শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউই সস্তিতে নেই। গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা এসব গুজবকারীদের বিরুদ্ধে তৎপর থেকে অভিযান চলিয়েছি অভিযানে যেন কোনো বিঘ্নতা না ঘটে তাই এতোদিন কোন রকম প্রচারণা চালাইনি তবে এখন থেকে এসব গুজবের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালাবে এবং অভিভাবকদের কে উদ্বুদ্ধ করা হবে যেনো তারা নির্বিঘ্নে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মীর শাফিন মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মোঃ রাসেলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(চরফ্যাশন সার্কেল) মোঃ ছাব্বির আহমেদ, প্রবীণ সাংবাদিক বিটিভির জেলা প্রতিনিধি এম.এ. তাহের, ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম. হাবিবুর রহমান, দৈনিক ভোলার বাণী’র সম্পাদক মোহাঃ মাকসুদ রহমান, প্রথম আলো প্রতিনিধি নেয়ামত উল্লাহ,মাছরাঙা টিভির জেলা প্রতিনিধি হাসিব রহমান,এনটিভি জেলা প্রতিনিধি আফজাল হোসেন, একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ কামরুল ইসলাম, একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি মেজবাহ উদ্দিন শিপু, বাসস প্রতিনিধি মুন্না,দৈনিক মানব জমিন প্রতিনিধি মোঃ মনিরুল ইসলাম, মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ আরিফ হোসেন লিটন,চ্যানেল২৪ এর জেলা প্রতিনিধি আদিল হোসেন তপু প্রমুখ।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।