ব্রেকিংঃ

ভোলার রাজাপুরে জেলে পল্লিতে হাহাকার চেয়ারম্যানের ৩২ টন চাউল জনতার হাতে আটক

মোঃ মনজুল ইসলাম

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজান খাঁন এর বিরুদ্ধে।
জানা যায় জেলেদের বরাদ্দকৃত ৩২টন চাল প্রকাশ্য আত্মসাত করেন মিজান খাঁন।

এসময় আত্মসাৎকৃত ৩২টন চাল জেলেদের মধ্যে বরাদ্দ করার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান সেটা না করে নিজ পকেট এ বরাদ্দ করেন।
একপর্যায়ে ইউপি সদস্যদের সাথে চেয়ারম্যানের কথা কাটাকাটি ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।

রাজাপুরের মেম্বাররা অভিযোগ করে বলেন, এ সকল চাল জেলেদের জন্য পরিষদে আসলে ও চেয়ারম্যান জেলেদেরকে চাল না দিয়ে তার দস্যু ও ক্যাডার বাহিনীর মধ্যে দিয়ে চাল সরানোর সময় তা স্থানীয় জনতা ও জেলেরা ধরে ফেলে।

স্থানীয় জেলেরা জানান, এসকল চাল জেলে পরিবারের।

রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের সাথে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

স্থানীয় জনগন আরো অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত যে আর্থিক সহযোগিতা থাকে সেগুলো থেকে ও বঞ্চিত হয় আমরা।

দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদের জেলেদের বরাদ্ধৃত চাল জেলেরা পাওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে জেলেরা পাচ্ছেন না এ সকল চাল।
জেলেদের নাম ভাঙ্গিয়ে সুবিধা নিচ্ছেন চেয়ারম্যান এর ক্যাডার বাহিনী ও বহিরাগতা।

যাদের দ্বারা চেয়ারম্যান এলাকায় প্রভাবশালী বিস্তার করেন তারা ইউনিয়ন পরিষদের সুবিধা ভোগ করেন বলে স্থানীয় জনতা ও জেলে পরিবার।

এলাকার কোন মানুষ যদি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং চেয়ারম্যানের কথার বাহিরে গিয়ে চলে তখন চেয়ারম্যান বিভিন্ন মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় ভুক্তভোগিরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এদিকে রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের জেলেদের চাল আৎসাতের অভিযোগের খবর পেয়ে
ভোলা জেলা অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খাদ্য গুদাম তালাবদ্ধ করেন। এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলে নিশ্চিত করেন।
এদিকে রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজান খা জানান, জেলেদের চাল জেলেদের কে অনেক আগেই দিয়ে দিয়েছি যে চাল অবশিষ্ট্র আছে এগুলো বেশি হয়েছে তাই এগুলো আমি আমি কর্মিদের মাঝে বিতরন করার জন্য প্রস্তু হয়েছি।
চেয়ারম্যান জানান পরিষদে ইউপি সদস্য আর আমার মধ্য যেটা ঘটেছে এটা ভুল বুজাবুজি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।