ব্রেকিংঃ

ভোলার রাজাপুরের সড়কে কালভার্ট না থাকায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি।।

স্টাফ রিপোটার।।

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড খালের তীরবর্তী সড়কে পানি অপসারণের কালভার্ট না থাকায় প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।

আজ ২ই জুলাই (শক্রবার) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,
রাজাপুরের মানুষের করুন আর্তনাদ। স্থানীয় মানুষের রান্না ঘর, বিশুদ্ধু পানি উত্তোলনের টিউবওয়েল, টয়লেটসহ সকল কিছু পানির নিচে প্লাবিত। ভুক্তভুগিরা বলেন,পুরো বর্ষায় আমাদের জন্য কঠিন সময় অতিবাহিত করতে হয়। খালেরর তীরবর্তী রাস্তায় পানি অপসারণের কালভার্ট না থাকাতে আমাদের পুরো বর্ষার ২ মাস এমন জলাধারের মধ্যে বসবাস করতে হয়! বর্ষায় ছোট শিশুদের পানিবাহিত রোগ কলেরা, ডায়রিয়া, মেলেরিয়া, সর্ধি কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।

এছাড়াও স্কুল পড়ুয়া শিশুরা বর্ষায় স্কল/মাদ্রাসায় যাওয়া আসা করতে পারে না। বর্ষায় অতি জলাধার তৈরীর ফলে পানিতে পরে একাধিক শিশুর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। পুকুরের মাছ ভেসে যাচ্ছে এবং বাড়ীর বাগানের বিভিন্ন গাছ পালা পানি জমা থাকার কারণে মরে যাচ্ছে ।

ভুক্তভুগী ফরিদ মিকার বলেন, আমরা বৃহত্তম কন্দ্রকপুর ৫নং ওয়ার্ড বাসির বিশালাংশ বর্ষার দুই মাস পানির মধ্যে বসবাস করতে হয়, রান্নাঘর পানিতে তলানো,টয়লেট করার মত ব্যবস্থা নাই! টিউবওয়েল পানির নিছে, আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর এমন দূর্বিসহ জীবন থেকে মাত্র দুই একটা কালভার্ট করলে আমরা মুক্তি পাই।
এবং তারা ভোলার অভিবাবক জননেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহম্মেদ এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এছাড়াও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা লোকমান দফাদার বলেন, আমাদের পুরো ৫নং ওয়ার্ড তথা কন্দ্রকপুর খালের তীরবর্তী রাস্তায় একটিও কালভার্ট নেই, ফলে পুরো গ্রামবাসী পানির মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে।তিনি আরো বলেন,স্থানীয় চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের কাছে আমরা গ্রামবাসী গেলেও কোনো সূরা পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে রাজাপুর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখন বাজেট বা অন্যকোনো ফান্ড নাই,পরবর্তী বাজেটের সময় কালভাটের জন্য ব্যবস্থার গ্রহন করবো।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।